কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ দিতে চায় অস্ট্রেলিয়া
অবকাঠামো নির্মাণে দক্ষ জনবল তৈরি ও নির্মাণশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) নরদিয়া সিম্পসন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
নরদিয়া সিম্পসন বলেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হয়। এর সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষা ও ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার বিষয় সামনে রেখে কাজ করতে হয়। ফলে টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন ও সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ার সরকার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের সংক্ষিপ্ত মেয়াদে প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তিনি ভূগর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূপৃষ্ঠস্থ পানির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন
এদিকে মন্ত্রণালয়ে গৃহায়ন মন্ত্রীর সঙ্গে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নাগরিক প্লাটফর্মের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দেশের আবাসন খাতে বিদ্যমান সমস্যা, সমস্যা উত্তরণে বিভিন্ন পন্থা সম্পর্কিত গবেষণালব্ধ সুপারিশ ও পরামর্শগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনাকালে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে প্ল্যানারদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে উল্লেখ করলে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সব উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের জনবল কাঠামো ও সব উন্নয়ন প্রকল্পে প্ল্যানার ও পরিবেশবিদ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে মৌখিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আলাপকালে মন্ত্রী দেশের নগরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের পরিকল্পিত উন্নয়ন সম্পর্কে তার গৃহীত পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান। এক্ষেত্রে সিপিডি ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্মের সুপারিশ ও প্রস্তাবগুলো তিনি সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দেন।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শৃঙ্খলায় আনতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যে একটি পত্র পাঠানো করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এসএসএইচ