বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনায় মোবাইল ফোনসেটের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কমিশনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে ‘ভোল্ট সক্ষম মোবাইল হ্যান্ডসেট এবং নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা গ্রাহকের জন্য ৪জি প্রযুক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে এগুতে চাই, তাদের সঙ্গে সমানতালে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার ঊর্ধ্বে থেকে দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরসহ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে তিনি নির্দেশনাও দেন তিনি।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগে. জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ২০১৭ সালে বিটিআরসির তত্ত্বাবধানে দেশে মোবাইল ইন্ডাস্ট্রির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ১৭টি প্রতিষ্ঠান মোবাইল হ্যান্ডসেট প্রস্তুত করছে। যার মাধ্যমে দেশের চাহিদার শতকরা ৯৯ ভাগ হ্যান্ডসেট দেশীয় উৎপাদন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ শিল্পে দেশীয় বিনিয়োগসহ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগও হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিটিআরসির যে স্পেকট্রাম রোডম্যাপ রয়েছে তার একটি প্রধান অনুষঙ্গ হলো, ২০২৯-৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে ২জি নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি যাতে পুরোপুরি বন্ধ যাতে করা যায়। তাহলে এখন থেকে ক্রমান্বয়ে বাজার থেকে ২জি ডিভাইস বা হ্যান্ডসেটগুলো ধীরে ধীরে ৪জি সক্ষম স্মার্ট বা ফিচার ফোন দ্বারা প্রতিস্থাপন করতে হবে। প্রতিস্থাপনের বিষয়টি বিবেচনায় বস্তুত এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

পরবর্তী সময়ে VoLTE এর গুরুত্ব ও সুযোগ, কারিগরী পদ্ধতি ও কার্যনীতি এবং কৌশল বাস্তবায়নের বিষয়ে বিশদ উপস্থাপনা করেন কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আউয়াল উদ্দীন আহমেদ।

আরএইচটি/এসএম