ঘুষ না পেয়ে ইজারাদারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটি) যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীরের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ইজারাদার অভিযোগ করেন, দাবি করা টাকা না দেওয়ার কারণে আদালতের আদেশ অমান্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমিনবাজার ল্যান্ডিং স্টেশনের সীমানা বুঝিয়ে না দিয়ে হয়রানি করছেন। 

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ইজারাদার রাজু আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে রাজু আহমেদ বলেন, গত ২০২১ সালের জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য ২ কোটি ৫ লাখ ৩ হাজার ১০০ শত টাকায় আমিনবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাট ইজারা নেন তিনি। ওই সময় করোনা মহামারি, গাবতলী-আমিনবাজার রোডের নতুন ব্রিজ নির্মাণ ও আরসিসি জেনি নির্মাণের কারণে ওই বছর ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫২০ টাকা লোকসানের সম্মুখীন হন। পরে ঢাকার ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করেন। (মামলা নং-৯০/২২)।

ফলে আদালত নতুন করে ঘাটটি ইজারা না দিতে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি নির্ধারিত ভ্যাট-ট্যাক্স যথা সময়ে পরিশোধ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীর তার কাছে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই ঘুষ দিতে রাজি না হওয়ায় যুগ্ম পরিচালক ঘাট থেকে ইজারাদারকে বিতাড়িত করে নতুন কাউকে ঘাট দেয়ার হুমকি দেন।

তিনি আরও বলেন, যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীর ঘাটের ৬ হাজার ফুট এলাকা তাকে বুঝিয়ে না দিয়ে ওই সীমানার অংশ বেআইনিভাবে আরেকজনকে ইজারা প্রদান করেন। এতে তিনি প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে তিনি মোট এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ওই অসাধু কর্মকর্তার কাছ থেকে সমুদয় ক্ষতিপূরণ আদায়ে সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানান ইজারাদার রাজু আহমেদ।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ এর বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীরের মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত সেলফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ করেননি তিনি।

আরএইচটি/এসকেডি