দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মুহিববুর রহমান বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (১ মার্চ) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

এর আগে তিনি হাসপাতালের ভেতরে আহতদের দেখতে যান। 

মন্ত্রী বলেন, অগ্নিকাণ্ডের জন্য কারা দায়ী তা খুঁজে বের করার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, নিহতদের সৎকারের জন্য সরকার প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা সহায়তা দিচ্ছে। পরে তাদের ক্ষতি বিবেচনায় পুনর্বাসনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৫ জনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তিনি বলেন, এরকম একটি ঘটনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সমগ্র জাতি মর্মাহত। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘটনার সাথে সাথেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। এটি অপ্রত্যাশিত, দুঃখজনক ঘটনা। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। তবে এরকম ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। 

রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।

আরএইচটি/এমএসএ