রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনটিকে আগেই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুপুরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, অগ্নিকাণ্ডে অনেকে মারা গেছেন। এই মৃত্যু কাম্য নয়। এই মৃত্যু কখনো মেনে নেওয়া যায় না। এই ভবনটাতে একটা মাত্র সিঁড়ি আছে। ধোঁয়ার কারণে মানুষ যেখানে অচেতন হয়ে পড়েছিল। আমরা একটি তদন্ত কমিটি করেছি, আমরা আসলে দেখতে চাই কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না।

তিনি বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল কি না আমরা তদন্তে দেখতে চাই। এছাড়া, ভবন নির্মাণ করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিল কি না তাও আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা তদন্তে দেখতে পাব কীভাবে আগুন লেগেছে এবং এখানে কারো কোনো গাফিলতি ছিল কি না।

ভবনটিতে অফিস করার অনুমতি ছিল। কিন্তু অফিস না করে এখানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টসহ দোকান করা হয়েছে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা শুধু ফায়ার সেইফটি প্ল্যানটা দেখি। এ বিষয়ে রাজউক বলতে পারবে। তবে এ বিষয়টি আমরাও তদন্ত করে দেখব।

আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনটাকে ইতঃপূর্বে অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা মনে করি যারা ব্যবসা করেন, তাদের সবাইকে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার।

আগুনের সূত্রপাত কোথায় থেকে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল নিচ তলা থেকে। আমাদের প্রাথমিকভাবে ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

ভবনটিতে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন ছিল জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, এই ভবনে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ফায়ার সেইফটি প্ল্যান ছিল না। ভবনে আমরা দুয়েকটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার দেখতে পেয়েছি। ভবনে একটি মাত্র সিঁড়ি রয়েছে। মানুষ যে কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে একটি জানালাও ছিল না। এছাড়া চার তলায় গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে।

এমএসি/কেএ