বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে৷  

তিনি বলেন, একটা ফর্মুলা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এ বিষয়ে এরইমধ্যে আমরা অনুমোদন পেয়েছি। সেটা আমরা এ সপ্তাহে গেজেট আকারে প্রকাশ করবো।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ)  বিকেলে ওসমানী উদ্যানে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর তৃতীয় দিনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

তেলের দাম বাংলাদেশে কমলে সীমান্ত দিয়ে পাচারের একটা শঙ্কা থাকে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা নজরে রেখেছি। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে তেলের দাম ডিজেল প্রতি লিটার ১০৯ টাকা। কলকাতাতে সেটা ১৩৩ টাকা। কাজেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। এখানে যদি আরেকটু সাশ্রয়ী হয়, তাহলে আরো বেশি তেল পাচারের শঙ্কা থাকে। বিষয়টি নজরদারির মধ্যে থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের বিরাট একটা ভূমিকা ছিল। সে বিষয়ে আমরা আলোকপাত করেছি। সামনে যে সময়টা আসছে, মার্চসহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। পরিবেশ নিয়েও কথা হয়েছে। সেচসহ সবকিছুতে সৌর বিদ্যুতের আওতা কীভাবে বাড়াতে পারি, তা নিয়ে কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, জ্বালানির কীভাবে সাশ্রয়ী রাখতে পারি, তা নিয়ে কথা হয়েছে। এরইমধ্যে আমরা ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাচ্ছি। মার্চের প্রথম সপ্তাহে অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে তেলের কথা যদি বলি, বিশেষ করে জ্বালানির দাম, ডায়নামিক প্রাইসের দিকে যাবে। আমরা আশা করছি, জ্বালানির ক্ষেত্রে একটা সাশ্রয়মূল্যে আমরা অ্যাডজাস্টমেন্টে (সমন্বয়) যেতে পারি।

ডিসিদের প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা কী ব্যবস্থা নিতে পারি, তাদের বিষয়ে আরও কঠিন হওয়ায় যায় কী না; তা নিয়ে কথা হয়েছে। আর পরিকল্পিত শিল্প এলাকা ছাড়া কোথাও গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ না দিতে তাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। কৃষিজমি থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন জায়গা ভরাট করে শিল্প করা হচ্ছে, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনা ছিল।

ডিসিদের কাছ থেকে আরো একটি নির্দেশনা ছিল, তেল চুরির বিষয়ে তাদের সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে।

তেলের পরিমাণ কম দেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে বলেন, প্রতিটি পেট্রোল পাম্পে আমরা জিআইএস স্থাপন করেছি। সেগুলো আমরা লক্ষ্য করবো।

সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হয়— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কথা হয়েছে। ডিলারদের হাত থেকে কোনোমতে সাব-এজেন্টদের হাতে ঘুরে না যায়। সে বিষয়টি তারা যাতে নজরদারি করেন। রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতে সিলিন্ডারের যত্রতত্র ব্যবহার করা না হয়, তাও নজরদারি করতে বলা হয়েছে।

এমএম/এসএম