ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব ভুল শুধরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবার আবেদন করলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ভবন খুলে দেওয়া হবে।

বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলে ‘সাউথ পয়েন্ট নগর ব্যায়ামাগার’ উদ্বোধন শেষে অগ্নি নিরাপত্তা ও চলমান অভিযান প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বেইলি রোডের দুর্ঘটনার পর থেকে অত্যন্ত কঠোরভাবে এসব বিষয় দেখভাল করছে। এ ক্ষেত্রে যে জায়গায় আইনের ব্যত্যয় পাচ্ছে, সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আমরা দেখছি, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর সরকারের উদ্যোগে ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে গার্মেন্ট শিল্পগুলো আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তখন সংস্থাগুলো গার্মেন্টসগুলোতে ঘুরে দেখেছে এবং সমস্যাগুলো নিরূপণ করে সমাধান করেছে। আমাদেরও এই অভিযানের উদ্দেশ্য সংশোধন।

তিনি বলেন, এই অভিযান কঠোরভাবে চলবে। অভিযান পরিচালনা করে যেখানে সমস্যা পাওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে দেব। পরবর্তী সময়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি তাদের ভুল শুধরে আবার আবেদন করে, তখন আমরা যাচাই করে তাদের ছাড়পত্র দিয়ে দেব। এতে তারা আবার তাদের ব্যবসা এবং তাদের অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। এটি সংশোধনীমূলক উদ্যোগ। 

একইসঙ্গে বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় পারস্পরিক দোষারোপ না করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির মুখোমুখি করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বানও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অনেকে। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

জানা গেছে, বেইলি রোডের সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত, যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা। আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর গুলশান এলকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরএইচটি/কেএ