‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট র‌্যাব’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র‌্যাব।

দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে র‌্যাব বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এর পাশাপাশি মাদকের বিস্তাররোধ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, হত্যা, ধর্ষণ, জলদুস্য, বনদস্যু, চাঁদাবাজ, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশের এ এলিট ফোর্স।

র‌্যাব মহাপরিচালক ২০২৩ সালে অপারেশনাল (সাহসিকতা/বীরত্বপূর্ণ) ও প্রশাসনিক (সেবামূলক/প্রশংসনীয়) কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪৩ র‌্যাব সদস্যকে র‌্যাব মহাপরিচালকের বিশেষ সম্মাননা (সাহসিকতা) ও ৭৭ র‌্যাব সদস্যকে বিশেষ সম্মাননা (সেবা) পদকে ভূষিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‍্যাব সদর দপ্তরের শহীদ লে. কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় দিনে ‘র‍্যাব মেমোরিয়াল ডে’ অনুষ্ঠানে এ পদক তুলে দেন র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, একই দিন জঙ্গি, অস্ত্র, মাদক, আভিযানিক কার্যক্রম ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণসহ সর্বমোট ৫টি ক্যাটাগরিতে যে সব ব্যাটালিয়ন ভালো কাজ করেছে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরষ্কৃত করেন।

জঙ্গি বিরোধী অভিযানে প্রথম স্থান অধিকার করে র‌্যাব-৬, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে প্রথম র‌্যাব-১৫, মাদক উদ্ধারে প্রথম র‌্যাব-১৫, আভিযানিক কার্যক্রমে প্রথম র‌্যাব-১৫, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে র‌্যাব-৫ এবং ৩য় স্থান অধিকার করে র‌্যাব-১১ ও যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ ক্যাটাগরিতে র‌্যাব-৯ প্রথম স্থান অধিকার করে।

দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত ৩৩ র‍্যাব সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। 

বুধবার (৬ মার্চ) এলিট ফোর্স র‍্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

র‍্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়, সহিংসতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন হতে কতিপয় সদস্যদের একীভূত করে ২০১৯ সালে "জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকীয়া" নামক একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করে। র‍্যাব এই জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে সংগঠনটির আমীর এবং উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্বে থাকা সদস্যসহ প্রায় শতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারা দেশে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মাদকের উৎস, মাদকের রুট ও চ্যানেলসমূহ ধ্বংস করাসহ র‍্যাব সামাজিক আন্দোলন গড়ে সমাজ থেকে মাদক নির্মূলের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়া, র‍্যাব মানব পাচার, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মহাসড়কে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল, মলম বা অজ্ঞান পার্টি, জাল টাকা, প্রতারক চক্র, কিশোর গ্যাং, প্রযুক্তি নির্ভর অপরাধ যেমন সাইবার ক্রাইম এবং মানিলন্ডারিংসহ বহুমুখী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক নিরলসভাবে কাজ করছে সব র‍্যাব সদস্য। সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নে র‍্যাবের একক প্রচেষ্টায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন আজ জলদস্যুমুক্ত।

জেইউ/এসএম