জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবে বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গের দ্রুত বিস্তার ঘটছে। আর তাতে কৃষকেরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কীটপতঙ্গের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। 

শনিবার (৯ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অডিটরিয়ামে ‘পাঁচ দশকে কীটতাত্ত্বিক গবেষণা ও উন্নয়ন এবং উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি সম্মেলনটির আয়োজন করে। 

বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী কীটপতঙ্গ আক্রমণের বিস্তরণের কারণে বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য-নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পরিবেশবান্ধব বালাই ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নের ওপর সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শিল্পোন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কীটপতঙ্গের সংরক্ষণ, বংশবৃদ্ধি ও মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার জোরদার করা আবশ্যক। 

তারা আরও বলেন, গত পাঁচ দশকে কীটতাত্ত্বিক গবেষণার উন্নয়ন আশাব্যঞ্জক হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গবেষণার কর্মপরিকল্পনা আরও কার্যকর ও যুগোপযোগী করা একান্ত প্রয়োজন। এজন্য কীটতত্ত্ব বিষয়ে আধুনিক প্রায়োগিক শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম আরও জোরদার করা প্রয়োজন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির সাবেক সভাপতি ও আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ড. সৈয়দ নুরুল আলম সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। 

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার গেস্ট অব অনার হিসেবে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি কৃষি গবেষণার আধুনিকায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত উদ্ভূত কীটপতঙ্গের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ রাখার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানোর প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য তিনি কীটতত্ত্ববিদদের পরামর্শ দেন। 

ভারতের বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদদের আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে সম্মেলনে ৪টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সম্মেলনে কারিগরি সেশনে বাংলাদেশের বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নবীন ও প্রবীণ বিজ্ঞানীব এবং অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসএইচআর/জেডএস