তথ্য চাওয়ায় শেরপুরের নকলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত জানিয়েছেন, ইউএনও কিংবা সরকারি কোনো কর্মকর্তার এখানে যদি অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকে, সেটি তারা দেখবেন।

রোববার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন কথা জানান।

তথ্য চাওয়ায় আদালত বসিয়ে সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেল পরশু আমার কাছে এ তথ্য এসেছে। আমি দুই ধরনের তথ্য পেয়েছি। একটি হচ্ছে, তথ্য চাওয়ার অপরাধে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, আরেকটি হচ্ছে সে অসদাচরণ করেছিল। তিনি সেখানের একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছেন, খারাপ ব্যবহার করেছেন।

পরস্পরবিরোধী মিশ্র তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে কোনটা সত্য, তা আমি নিশ্চিত হতে পারছি না। আমি চাচ্ছি, এটার একটা তদন্ত হোক, তারপর ঘটনা কী ছিল; সেটা বের করি। তথ্য কমিশন থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, প্রধান তথ্য কমিশনের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারা আরো বিস্তারিত তদন্ত করবে। তারপর যেটা সঠিক সেটাই আমরা করব।

সে পর্যন্ত কী ওই সাংবাদিক কারাগারে থাকবেন- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী আরাফাত বলেন, যখন একটি আইনের মধ্যে এসে আদালত একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তখন তো আসলে আমাদের কিছু বলার থাকে না। আদালত বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাকে বের করার জন্য কোনো আইন তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে নেই।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন আদালতে যেতে হবে। আমরা যেটা করব, এখানে যদি ইউএনও কিংবা সরকারি কোনো কর্মকর্তার পক্ষ থেকে অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকে সেটিও আমরা দেখব।

এখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইন কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কী না- জানতে চাইলে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনের প্রয়োগ মানেই ক্ষমতার অপব্যবহার বলে আমি করি না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অপব্যবহার করার সুযোগ থাকে। কাজেই এখন পুরো বিষয়টি না জেনে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে, আমি সেখানে যুক্ত হই। পরশুদিন থেকে আমি এটার মধ্যে ঢুকেছি। আমি খোঁজ খবর রাখছি, পর্যবেক্ষণ করছি। আমি নিশ্চিত করেছি, তদন্ত সাপেক্ষে যাতে সঠিক তথ্য বের করা হয়।

তিনি আরও বলেন, কেউ যাতে বাংলাদেশে (সাংবাদিক, শিল্পী বা যে-ই হোন না কেন) ক্ষমতার অপব্যবহারের কাছে ভিকটিম না হন, সেটা আমরা নিশ্চিত করব। এ বিষয়ে আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন।

এসএইচআর/পিএইচ