জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মানবাধিকার ধারণাটি আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির মূলে প্রোথিত করতে হবে। এজন্য মানবাধিকারের মর্ম ও বিস্তৃতি উপলব্ধি করে চর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত হতে হবে। দেশব্যাপী মানবাধিকার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় কমিশন নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি’র সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক। সভায় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম আহমেদ, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার সরকার ওমর ফারুক, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্য প্রদানকালে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, উন্নত ও মানবিক সমাজ নিশ্চিত করতে হলে সমাজের প্রতিটি স্তরে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীর অধিকার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থানে জোর দিতে হবে।

সম্প্রতি আলোচিত দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক শফিউজ্জামান রানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৬ মাসের কারাদণ্ডের বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মানবিক সমাজ প্রত্যাশা করি যেখানে পরমতসহিষ্ণুতার চর্চা থাকবে এবং বাকরুদ্ধ করে এমন কর্মকাণ্ড কমিশন সমর্থন করে না।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান জানান, এর আগে আজ সকালে কমিশনের চেয়ারম্যান সারদায় পুলিশ একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। এ সময় পুলিশের ৭৩ জন এএসপি, ৭০৮ জন সার্জেন্ট এবং ৮০৬ জন এসআই অংশগ্রহণ করেন। কমিশনের চেয়ারম্যান মানবাধিকার ধারণার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও কমিশনের কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

জেইউ/এমএ