রাজধানীর আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানশনের নবদম্পতি আশিকুজ্জামান ও মুনা সরকার খানকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাদের উভয়রই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) থেকে তাদের জ্ঞান ফেরেনি।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আশিকুজ্জামান ও মুনা সরকারের অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাওয়ায় তাদের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এছাড়াও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ২ জন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

দেড় মাস আগে বিয়ে করেন মুনা সরকার ও আশিকুজ্জামান। মুনা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর আশিকুজ্জামান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র।

আইসিইউতে থাকা ভর্তি বাকি দুইজন হচ্ছেন- খোরশেদ আলম ও শাফায়েত হোসেন। খোরশেদের শরীরের ২২ শতাংশ ও শাফায়েতের ২৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও ১৬ জন বার্ন ইউনিটের পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি আছেন। তাদের শরীর আগুনে না পুড়লেও ধোয়ায় শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের কাউকেই আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (২২) দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে আরমানিটোলার ওই ভবনে আগুন লাগে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। ১৯টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার চেষ্টায় গতকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ভবনের পাশের একটি ভবনের এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ওই ভবনের নিচে কেমিক্যালের গুদাম রয়েছে। আগুন ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট চারজন মারা গেছেন।

বার্নের পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে থাকা অন্যরা হচ্ছেন ইব্রাহিম সরকার (৬০), সুফিয়া বেগম (৫০), জুনায়েদ (২০), মোস্তফা (৪০), ইউনুস মোল্লা (৬০), সাকিব হোসেন (৩০), সাফায়েত হোসেন (৩৫), চাষমেরা বেগম (৩৩), দেলোয়ার হোসেন (৫৮), আয়সাপা (২), লায়লা বেগম (৫৫), মোহাম্মদ ফারুক (৫৫), মেহেরুন্নেসা (৫০), মিলি (২২), পাবিহা (২৬),আকাশ (২২) ও আসমা সিদ্দিকা (৪৫)।

এআর/এমএইচএস