বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন, উত্ত্যক্ত করা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার ঘটনা শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন করে তুলছে। একইসঙ্গে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকেও বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনায় শনিবার (১৬ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংগঠনটির সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বিবৃতিতে বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছেন। জানা যায়, দুই থেকে দেড় বছর আগে অবন্তিকার বিরুদ্ধে তার সহপাঠীরা ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে অবন্তিকা থানায় জিডি করেছিলেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ দেশের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠী ও প্রক্টর কর্তৃক ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্ত করাসহ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার ঘটনা শিক্ষার্থীদের একদিকে যেমন উদ্বিগ্ন করে তুলছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেইসঙ্গে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার আলোকে অভিযোগ কমিটি গঠন ও কমিটিকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ ছাড়া ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তারা নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানান।

আরএইচটি/এসএসএইচ