জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে মেট্রোরেলে চড়েছে ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশু। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ইচ্ছে পূরণের সুযোগ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। 

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে মতিঝিল স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়ে শিশুরা। সেখান তারা মেট্রোরেলে করে উত্তরা স্টেশন পর্যন্ত যায়। এরপর সেখান থেকে বিআরটিসি বাসে করে তাদের মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত আনা হবে। এর মধ্য দিয়ে তাদের আনন্দ যাত্রা শেষ হবে। মেট্রোরেলের ভেতর শিশুদের মিষ্টি, কেক, চকলেট, চিপস, স্যান্ডউইচ ও ম্যাংগো ক্যান্ডি বিতরণ করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মেট্রো স্টেশনের কনকর্স প্লাজায় আসে শিশুরা। এ সময় তাদের পরনে ছিল একটি লাল রঙের টি-শার্ট ও মাথায় ছিল নেভি-ব্লু রঙের টুপি। আর সবার হাতে ছিল ছোট ছোট প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল ‘শুভ জন্মদিন প্রিয় বঙ্গবন্ধু’। এ সময় শিশুদের বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায়। 

এ দিন শিশুরা মেট্রোরেলের ট্রেইলার (চালক সম্বলিত) কোচে চড়ে। পরে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তাদের নিয়ে মেট্রো ট্রেনটি উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পুরো ট্রেন যাত্রায় শিশুদের আনন্দ-উল্লাসে মেতে থাকতে দেখা গেছে। মেয়ে শিশুরা দলবেঁধে গলা মিলিয়ে গাইছিল ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুলপরী।’ ছেলে শিশুরা ব্যান্ডের বাদ্যবাজনা বাজিয়ে তালে তালে হাততালি দিয়ে গাইছিল ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি। ছেলেদের কেউ আবার স্লোগানও দিচ্ছিল ‘শুভ শুভ শুভ দিন, শেখ মুজিবের জন্মদিন’। 

মেট্রোরেলে চড়তে ভয় পাচ্ছিল কেরাণীগঞ্জ থেকে আসা শিশু মো. মানিক। সে ঢাকা পোস্টকে বলে, মেট্রোরেলে চড়তে আমার ভয় লাগছে। কারণ আমি কখনো মেট্রোরেলের চড়িনি। শুনেছি এটি আকাশ দিয়ে যায়। আজকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস হিসেবে আমরা এখানে চড়ার সুযোগ পেয়েছি।

ওয়ারী থেকে আসা শিশু মো. সুমন ঢাকা পোস্টকে বলে, মেট্রোরেল মোবাইলে দেখেছি। অনেক পুলিশের ভিড়ে কখনো চড়া হবে সেটি ভাবিনি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষ্যে চড়তে পেরেছি। আমার খুব আনন্দ লাগছে।

সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের (কানেক্টিভিটি শাখা) উপসচিব আবু নাছের ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মেট্রোরেলে ভ্রমণ করিয়ে থাকি। সে হিসেবে এবার ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করানো হয়েছে। এসব শিশুদের সংগ্রহ করে দিয়েছে ‘একমাত্র’ নামের একটি এনজিও।

এমএইচএন/কেএ