জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রোববার সকালে বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র অন্যান্য সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধুর ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ’ এর ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর ৩য় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়।

বিজিবি সদর দপ্তর, পিলখানার সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আজ বাঙালি জাতির জন্য একটি অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু না জন্মালে ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হতো কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাই বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ কখনোই ভিন্নভাবে চিন্তা করা যায় না, ভবিষ্যতেও যাবে না। বঙ্গবন্ধু এমন একজন নেতা ছিলেন যিনি তার জীবনের অধিকাংশ সময় দিয়ে তিল তিল করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি রচনা করেছেন। 

বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ লক্ষ্যে তিনি কাজও শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসনামল পর্যালোচনা করলে তার প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে ভিশন ছিল তার পরিচয় পাওয়া যায়। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। 

এআর/এসকেডি