পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বনকে সম্পদ হিসেবে দেখতে হবে। বনের ভেতর দিয়ে রাস্তা বা অন্য কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করে বন ধ্বংস করা যাবে না। 

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বন অধিদপ্তরে ‘সম্ভাবনায় বন, উদ্ভাবনায় বন’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক বন দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বন সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইন করা হচ্ছে। বন বিষয়ক গবেষণা বাড়ানো হবে। বন, বন্যপ্রাণী ও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণে সকলে মিলে কাজ করে ভবিষ্যৎ এবং বর্তমান প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে পারব। 

বনমন্ত্রী বলেন, বনায়ন ও পরিবীক্ষণ কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। সুন্দরবনে স্মার্ট প্যাট্রোলিং পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে সফলভাবে বন পরিবীক্ষণ ও অপরাধ দমন করা হচ্ছে। সুন্দরবন ও অন্যান্য রক্ষিত এলাকায় ভ্রমণের জন্য টিকিট ও অন্যান্য সেবা অনলাইনে প্রাপ্তির লক্ষ্যে মোবাইল অ্যাপস প্রস্তুতের কার্যক্রম চলছে। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার বিদ্যমান আইন, বিধিমালা ও নীতিমালাগুলো হালনাগাদ করা হচ্ছে। 

বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, সততা বড় সম্পদ, যোগ্যতার ভিত্তিতে পোস্টিং হবে। যারা ভালো কাজ করবেন তারা স্বীকৃতি পাবেন।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ;  অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন;  আরণ্যক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এ. জেড. এম মঞ্জুর রশীদ এবং সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায় বক্তব্য রাখেন। 

এসএইচআর/এসকেডি