২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, মজুরি আন্দোলনে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধ, ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন, শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।

শুক্রবার (২২ মার্চ) প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলে এ দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়ক নাইমুল আহসান জুয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা কামরুল আহসান, আব্দুল ওয়াহেদ, আহসান হাবিব বুলবুল, রুহুল আমিন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবছরই শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ২০ রোজার মধ্যেই গার্মেন্ট শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করার দাবি জানানো হয়। কিন্তু মালিক পক্ষের একটি অংশ সেটা পরিশোধ নিয়ে প্রতিবারই সময়ক্ষেপণ করে এবং বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাসের পরিবর্তে বেতনের টাকা কমিয়ে ও বোনাসের নামে বকশিস নামক একটা কিছু দিয়ে গার্মেন্টস সেক্টরে অরাজকতা তৈরি করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বকেয়া বেতন ও বোনাস নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তুতি থাকা জরুরি। কিন্তু গত ২০ মার্চ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বকেয়া বেতন ও বোনাস পরিশোধে সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা ছাড়া সাধারণভাবে ঈদের আগে পরিশোধ করার করার কথা বলা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে মালিক পক্ষকে সময়ক্ষেপণ করার ও বেতন বোনাস নিয়ে তালবাহানা করার সুযোগ করে দেওয়া হলো।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মজুরি আন্দোলনে নিহত শ্রমিকদের কোন সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা হয়নি। অথচ মজুরি আন্দোলনে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত ১২ হাজার ৫০০ টাকার ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকরা প্রত্যাখ্যান করলেও সে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে বিভিন্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে, গ্রেডে ফাঁকি দিচ্ছে, এর প্রতিবাদ করলে শ্রমিক ছাঁটাই, নির্যাতন ও মামলার হুমকিতে ফেলছে শ্রমিকদের। অতএব দমন নির্যাতন বন্ধ করে ২০ রোজার মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও পূর্ণ বোনাস পরিশোধ করতে হবে।

ওএফএ/এসকেডি