রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত সেবা দ্রুততার সঙ্গে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার (২৩ মার্চ) ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ হলেও তা দিনে দিনে চরম ভাবাপন্ন হয়ে উঠছে। ফলে দেশের কৃষি, জনস্বাস্থ্য, মৎস্য, জীববৈচিত্র্যসহ সামগ্রিক ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশে দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলার জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও পানির প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের জন্য বিদ্যমান প্রযুক্তির সঙ্গে উন্নত বায়ু পরিমাপক ও রেকর্ডিং সিস্টেম, ডিজিটাল ব্যারোমিটার, জিপিএস রেডিও স্টেশন স্থাপনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অধিকতর সঠিক ও আগাম পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে, যা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘অ্যাট দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট অ্যাকশন’ তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে।

তিনি ‘বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেছেন।

এসএসএইচ