ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে আপিল কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ে প্রার্থীদের বাদ পড়া মনোনয়ন ফিরে পেতে ডিসিদের কাছে আবেদন করতে হবে প্রার্থীদের। এবারের উপজেলা ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসাররা।

নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে আপিল শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসককে আপিল শুনানি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। এবার ৪৮১ উপজেলার নির্বাচন চার ধাপে করার পরিকল্পনা করে প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, কমিশন উপজেলা নির্বাচন চারটি ধাপে করার পরিকল্পনা করেছে। সেই হিসাবে প্রথম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপের ভোট ২৩ মে, তৃতীয় ২৯ মে ও সর্বশেষ চতুর্থ ধাপের ভোট ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

চার ধাপের নির্বাচনে প্রথম ধাপের ১৫২ পরিষদের নির্বাচনের তফসিল গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঘোষণা করেছে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল, আপিল দায়ের ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, মনোনয়ন প্রত্যাহার ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল। ভোটগ্রহণ ৮ মে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে। সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণবিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী থেকে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি, তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।

এসআর/এসএসএইচ