আমাদের দেশে কেএফসি, পিৎজা হাট বা ডমিনোজ পিৎজা এসে ব্যবসা করছে। কিন্তু আমাদের সুলতান’স ডাইন বা স্টার কাবার কেন সারাবিশ্বে যেতে পারছে না, বলে প্রশ্ন রেখেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান জাকারিয়া। তিনি বলেন, আমি এমন পরিবেশ দেখতে চাই— যেন আমাদের খাবার বিশ্বমানের হয়।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটন বিয়াম মিলনায়তনে খাদ্যকর্মীদের এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, রেস্টুরেন্টে যেন নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে পারি সে বিষয়ে আপনাদের সচেতন থাকতে হবে। আপনাদের পরিবেশিত খাদ্য যেন খাদ্যবাহিত রোগের কারণ না হয়।

রেস্টুরেন্টে পরিবেশিত খাবার বাসার খাবারের চেয়ে ভালো হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনারা নতুন কিছু জানবেন, আমরা নতুন কিছু জানব; উভয়ের পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা দেশে নিরাপদ খাদ্যের সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতি দশ জনে একজন অনিরাপদ খাবার গ্রহণের কারণে অসুস্থ হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশে ১ লাখ ১৪ হাজার মানুষ প্রতি বছর ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করছে, যার মূল কারণ অনিরাপদ খাদ্য। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব হারুণ-অর-রশীদ। তিনি বলেন, খাদ্যের নিরাপত্তায় আমাদের আরো জোর দিতে হবে। সেজন্য যারা খাদ্য সরবরাহ করেন, তাদের সচেতন থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে খাদ্যকর্মীদের খাবার প্রস্তুত, পরিবেশনা, সংরক্ষণ, পরিবহন, লেবেলিং, নিরাপদ খাদ্য আইন ও এর বিধি-প্রবিধি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি, খাদ্যকর্মীদের করণীয়াবলি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপায়, ভোক্তার সঙ্গে আচরণ এবং নিরাপদ খাদ্যের পরিবেশ তৈরিতে করণীয়সহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

এতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের প্রায় ২০০ জন খাদ্যকর্মী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে মাস্ক, অ্যাপ্রোন, ক্যাপ, গ্লাভস ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।

এসআই/এমজে