দুই ঈদের বকেয়া পরিশোধ ও বন্ধ করে দেওয়া বেতন চালুসহ চার দফা দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসব দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

এ সময় ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা বলেন, আমাদের দুই ঈদের সব বকেয়াসহ সবকিছু অতি শিগগিরই পরিশোধ করতে হবে। যাদের বেতন হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এটা পুনরায় চালু করতে হবে। চিকিৎসকদের সুরক্ষা আইন করতে হবে।

তারা বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি আমাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে মিটিংয়ে বসবেন এবং আমাদের আজই আপডেট জানাবেন। কিন্তু আমাদের কথা একটাই; সেটি হলো, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান থেকে নড়বো না। আমাদের ন্যায্য দাবি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে মেনে নিতেই হবে।

বক্তারা বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কোনোভাবেই চলা সম্ভব নয়। তাই  তাদের ভাতা ৩০ হাজার টাকা করতে হবে। পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের বেতন ছয় মাসে দেওয়ার কথা থাকলেও আজ নয় মাস হয়ে গেছে, এখনো তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। অনতিবিলম্বে তাদের বেতন দিতে হবে। তাদের বেতন ২৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালানো অসম্ভব৷ তাই তাদের বেতন ৫০ হাজার টাকা করতে হবে। 

তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের যত মেডিকেলে ইন্টার্ন চিকিৎসক রয়েছেন, তারা সবাই আমাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করেছেন। আমাদের এ দাবির স্বপক্ষে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি চলমান রাখবো।  

তাদের দাবিগুলো হলো; 

১/ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি ডাক্তারদের মাসিক ভাতা ৫০ হাজার এবং ইন্টার্ন ডাক্তারদের মাসিক ভাতা ৩০ হাজারে উন্নতকরণ এবং নিয়মিতকরণ করতে হবে। 

২/ এফসিপিএস, রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট ডাক্তারদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

৩/ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ১২টি প্রাইভেট ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট ডাক্তারদের ভাতা পুনরায় চালু করতে হবে। 

৪/ চিকিৎসক সুরক্ষা আইন ও চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে হবে।  

ওএফএ/কেএ