রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে কিশোরী গৃহকর্মী মর্জিনা আক্তার হত্যার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে গৃহ শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক।

রোববার (২৪ মার্চ) গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে একটি বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মর্জিনা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একই সঙ্গে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করে এ ধরনের ঘটনা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তারা বলেন, জানা গেছে মর্জিনা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে। আট মাস আগে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের মাধ্যমে মর্জিনাকে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হুদার বাসায় কাজে দেন। গত ১৪ মার্চ বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে ওই ভবনের ১৪ তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে মারা যায় সে। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত হয়। তার পরিবার মরদেহ নিয়ে লক্ষ্মীপুরের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। মর্জিনার মৃত্যুর ঘটনায় কাফরুল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গৃহকর্মে নিযুক্ত শ্রমিকের উপর নির্যাতন, হত্যা, ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো প্রভৃতি ঘটনা উদ্বেগজনক ভাবে বেড়ে গেছে। গৃহশ্রমিক হিসেবে যেমন তাদের রয়েছে কিছু ন্যায্য অধিকার তেমনি রয়েছে মানুষ হিসাবে মর্যাদা পাওয়ার অধিকার। দেশব্যাপী গৃহ শ্রমিকদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়া এবং গৃহ শ্রমিকদের শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় দেশে একের পর এক গৃহ শ্রমিকের মৃত্যু ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। বিচারহীনতার কারণে দোষীরা বার বার গৃহ শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনের সাহস পায়। যদি এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেই ভয়ে আর কেউ গৃহ শ্রমিকদের নির্যাতনের সাহস দেখাবে না। সুতরাং এই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিকে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্ক।

এএসএস/এসকেডি