জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে সহপাঠী ও প্রক্টরের আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

স্মারকলিপি প্রদানকালে ঘটনার শিকার ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মহিলা পরিষদের নেতারা।

সোমবার (২৫ মার্চ) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৫ মার্চ প্রচারিত সংবাদ ও পরবর্তীতে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকাকে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম কতৃর্ক আত্মহত্যায় প্ররোচনার ঘটনা ঘটেছে।

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে গত ১৫ মার্চ রাতে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে তিনি সুইসাইডাল নোটে উল্লেখ করেন। দেড় থেকে দুই বছর আগে অবন্তিকার বিরুদ্ধে তার সহপাঠীরা ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে অবন্তিকা থানায় জিডি করেছিলেন।

ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার ন্যায়বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের ধারাবাহিক আন্দোলনমুখী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সোমবার (২৫ মার্চ) মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে। স্মারকলিপি প্রদানকালে ঘটনার শিকার ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা ঘটনার পর সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিভিন্নমুখী কার্যক্রমের বিষয়ে অবন্তিকার পরিবারের সদস্যদের জানান এবং ঘটনার বিষয়ে দায়ের করা মামলা পরিচালনায় সহায়তা ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতাসহ ঘটনার শিকার পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি দলে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, সংগঠনের আইন বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম এ সবুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম, লিগ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড লবি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট দীপ্তি সিকদার ও জুনিয়র আইনজীবী সৌমিক শরীফ শাওন।

জেইউ/এসএসএইচ