বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পৈশাচিক বর্বরতা চালিয়েছে। গোটা বাঙালি জাতিকে নির্মূলের অশুভ উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা হয়। মানবতা সুরক্ষার স্বার্থে এর আন্তর্জাতিক তদন্ত ও স্বীকৃতি প্রয়োজন।

সোমবার (২৫ মার্চ) বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও বক্তৃতানুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নুরুল হুদা বলেন, স্মরণাতীতকাল থেকে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম শুরু হয়েছে। আমরা সবসময় লড়াই করে আমাদের অধিকার অর্জন করেছি। অধিকারের প্রশ্ন সামনে এলে কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর দ্বারা গণহত্যার শিকার হয়েছি।

বাংলা একাডেমির সচিব মো. নায়েব আলী বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা। তবে আমরা গণহত্যার মুখোমুখি হয়ে স্তব্ধ হয়ে যাইনি। বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির (বীরপ্রতীক) বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শাসকগোষ্ঠী পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকে বাঙালি-বৈরী ভূমিকা পালন করতে থাকে। তারা আমাদের শাসনতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করেছে। ভাষা-সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে স্তব্ধ করতে নানামুখী আগ্রাসন চালিয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাধীনতা প্রত্যাশী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা পরিচালনা করেছে।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে আমাদের তৎপর হতে হবে। গণহত্যা ও নির্যাতনের প্রামাণ্য ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রচারে মনোযোগী হতে হবে।

অনুষ্ঠানে একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতের শহীদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।

আরএইচটি/কেএ