বরিশালের বানারীপাড়া এলাকায় ইয়ার হোসেন নামে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে নির্যাতন করত। এই নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দেয়। 

স্ত্রীর দেওয়া ডিভোর্স মেনে নিতে না পেরে ইয়ার হোসেন ওই নারীকে তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায় ও মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ করে। পরে নগ্ন ছবি দেখিয়ে ওই নারীকে হয়রানি ও ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে ইয়ার হোসেন।

নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ওই নারী বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ’ এর ইনবক্সে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ওই নারীর অভিযোগের পর দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ইয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রোববার (২৫ এপ্রিল) পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মি‌ডিয়া অ্যান্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স) মো. সো‌হেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মো.সোহেল রানা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বরিশালের বানারীপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশনা দেন এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করতে। তার প্রেক্ষিতে ওই নারীর স্বামীকে থানায় ডাকা হয়। ওই নারীকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়। নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগের বিপরীতে অভিযুক্তের বক্তব্য শোনা হয়। বক্তব্য সন্তোষজনক মনে হওয়ায় এবং অভিযোগের সত্যতা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ায় অভিযুক্তকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সেই নির্যাতিত নারী বাংলাদেশ পুলিশকে লিখেছেন, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের জন্য আমি সঠিক বিচার পেয়েছি। আপনাদের ঋণ শোধ করার মতো আমার তৌফিক নেই। কিন্তু ইনশাল্লাহ আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আপনাদের জন্য নামাজে বসে দোয়া করে যাব। আমার বাব ও বড় ভাই না থাকায় আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে মুখ বেঁধে ইচ্ছামত মারধর করেছে। আমি এখনও রাতে ঘুমাতে পারি না তার সেই মারধরের ভয়ে। ইনশাল্লাহ, আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আপনাদের জন্য দোয়া করে যাব। মহান আল্লাহ যেন আপনাদেরকে আমাদের মতো অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেন।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে মেডিকেল ছাত্রীকে হেনস্তা : সমাধান করল পুলিশ

এমএসি/এসএসএইচ