ইতা‌লি গমনেচ্ছু বাংলা‌দে‌শিদের দেশ‌টি‌তে যাওয়ার অনুমোদন আসার পর ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দিতে ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নি‌তে হয়। সম্প্রতি ভিএফএস গ্লোবাল থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নি‌তে গি‌য়ে ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌চ্ছে বাংলা‌দে‌শি কর্মী‌দের।

এমন পরিস্থিতিতে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে সিন্ডিকেট কালোবাজারির অভিযোগ তুলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি করেছেন ভুক্তভোগীরা। কর্মসূচিতে তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, আমরা সবাই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। আর্থিক, মানসিক সমস্যার দায়ভার কে নেবে, দূতাবাস-নাকি সরকার? ফ্রি অ্যাপয়েন্টমেন্ট কেন লাখ টাকা-এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?

বুধবার (২৭ মার্চ) গুলশান-২ নম্বরের বে ভবনের ইতালি দূতাবাসের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন।

কর্মসূচিতে তারা বলেন, আমরা ইতালি যাওয়ার জন্য সবাই আবেদন করি এবং আমাদের ইতালি থেকে ওয়ার্ক পারমিট বের হয়। পরে আমরা দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা করার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে গেলে হয়রানির শিকার হচ্ছি। প্রতি মাসের ২৫ তারিখে অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট খোলা হলেও এক মিনিটের মধ্যেই স্লট বুক হয়ে যাচ্ছে। এগুলোকে পুঁজি করে একদল কালোবাজারি লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা সবাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। কারণ আমরা সময়মতো পাসপোর্ট জমা না করতে পারলে আমাদের আর্থিক এবং মানসিক সমস্যার পাশাপাশি পারিবারিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

তারা আরও বলেন, আমাদের একটাই দাবি অ্যাপয়েন্টমেন্ট ডেট ম্যানুয়ালি করা হোক অথবা ডেট সবসময় অ্যাভেইলেবল করা হোক যেন সবাই সময়মতো পাসপোর্ট জমা করতে পারে। যাদের পাসপোর্ট মাসের পর মাস দূতাবাসে আটকে আছে সেগুলো দ্রুত রিলিজ করা হোক। আমরা সবাই পারমিট নিয়ে তিন মাস চার মাস ধরে বসে আছি, কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারছি না। আমাদের পারমিটের মেয়াদ মাত্র ছয় মাস থাকে।

এসময় তারা বেশ কিছু দাবি জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রথম দাবি অ্যাপয়েন্টমেন্ট সবসময় অ্যাভেইলেবল করা হোক। ম্যানুয়ালি যাদের নুলুস্তা (ইতালির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা) উঠছে তাদেরকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হোক। এখানকার কালোবাজারি ভাঙতে হবে, সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আমরা সবাই ভিএফএস গ্লোবালের অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ার কারণে দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা করতে পারছি না। আমরা সবাই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি, আর্থিক, মানসিক-এর দায়ভার কে নেবে। অ্যাম্বেসি নেবে, নাকি সরকার নেবে? আমরা বলতে চাই, যাদের নুলুস্তা বের হয়েছে তাদেরকে দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা করার সুযোগ করে দিন। ফ্রি অ্যাপয়েন্টমেন্ট কেন লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এর জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা মাসের পর মাস ঘুরেও কেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাচ্ছি না। এখানে কারা জড়িত আছে তাদেরকে তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় আনা হোক।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভুক্তভোগী রহিম শিকদার, বাইজিদ আহমেদ, আতিয়ার বিশ্বাস, রোকন ভুঁইয়া, জাহিদ হোসেনসহ অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী।

এএসএস/জেডএস