২০ রমজানের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন, বেসিকের সমপরিমাণ বোনাস ও ওভারটাইমসহ সব বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। পাশাপাশি শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, এবারও ঈদের আগে বেতন-বোনাস পরিশোধ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। ইতোমধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে ৪১৬ কারখানায় শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে সমস্যা হতে পারে। এ খবরে সাধারণ শ্রমিকরা অনিশ্চয়তা ও শঙ্কায় আছে। ঈদের সময় বেতন বোনাসের প্রশ্ন এলেই মালিকরা কাজ নেই বলেন। অথচ সরকারি ইপিবি তথ্যানুযায়ী চলতি ফেব্রুয়ারিতে এক মাসেই ৪৪৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। গত বছরের ফ্রেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১৩.৯৩ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে।

তারা বলেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত বছরের চেয়ে এ বছর রপ্তানির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে মালিকরাই বলছে। অথচ শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেওয়ার কথা এলে মালিকরা নানা বাহানায় সরকারের কাছে ঋণ নেয়, বেতন বোনাস নিশ্চিত করে না। তাই ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন ও বেসিকের সমান মজুরি, ওভারটাইমসহ সব পাওনা পরিশোধের দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।

বক্তারা বলেন, ঈদে শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে যাতে ভালো সময় কাটাতে পারে সে বিষয়ে সরকার ও মালিককে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে। ঈদ বা যেকোনো উৎসব শ্রমিকরা যথাযথভাবে পালন করতে পারা তাদের অধিকার। শ্রমিকের কাঁধে ভর করে পোশাক শিল্প ও বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকে আছে, সেই শ্রমিকের জীবনে ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দ করারও সুযোগ থাকে না। সারা বছর কাজ করিয়ে ঈদ এলেই মালিকদের তালবাহানা শুরু হয়। মালিকরা অর্ডার কম বলে অজুহাত দেয়। কিন্তু বাস্তবে সরকারি তথ্যসহ প্রতিটি কারখানায় যে মাত্রাতিরিক্ত ওভারটাইম করানো হচ্ছে তা থেকেও বোঝা যায় মালিকদের অর্ডারের অভাব নেই।

বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, প্রবীর সাহা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুব ইরান, কেন্দ্রীয় নেতা শামীম আহমেদ, হযরত বিল্লাল প্রমুখ।

ওএফএ/এসএসএইচ