বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) চলমান আন্দোলন নজরে রাখরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই আন্দোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন সংগঠনের তৎপরতা রয়েছে কিনা—সেটি পর্যবেক্ষণ করছে ডিবি।  

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

বুয়েটে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন। ছাত্র শিবিরের বর্তমান সভাপতিও বুয়েটের—এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের টিম রয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুয়েট ক্যাম্পাসে গত ২৮ মার্চ মধ্যরাতে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রবেশের প্রতিবাদ জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দায়ী বুয়েটের ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবিতে দুদিন বিক্ষোভ করেছেন তারা। বিক্ষোভ থেকে ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কয়েক দফা দাবিও জানান তারা। 

আন্দোলনের ফলে বুয়েটের ২১ ব্যাচের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

অপরদিকে শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বির আবাসিক হলের বরাদ্দকৃত সিট বাতিল ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে রাব্বির সিট ফেরত দিতে বুয়েট প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে ছাত্র সংগঠনটি।   

রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থি ও শিক্ষা বিরোধী সিদ্ধান্ত বলে আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

রোববার (৩১ মার্চ) তৃতীয় দিনের শুরুতে বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি। তবে বিকেল ৩টায় সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আন্দোলন সম্পর্কে পরবর্তী কর্মসূচি ও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানা গেছে।

এমএসি/এমএসএ