ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদে রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও সিসিমপুর। এর আওতায় শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট এবং ইন্টারনেট জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখা ও থাকার বিষয়ে শিশু ও অভিভাবকদের উৎসাহিত করা হবে।

পাশাপাশি বিটিআরসি পরিচালিত ‘সুবিধাবঞ্চিত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটালকরণ’ প্রকল্পের ১০০ স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা তৈরিতেও কাজ করা হবে।

সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে বিটিআরসি ও সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি) এর মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করা হয়েছে।

জানানো হয়েছে, সিসিমপুর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল এস এম রেজাউর রহমান এবং এসডব্লিউবির পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমান উপস্থিত ছিলেন।

২০২১ সাল থেকে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত এবং ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ইন্টারনেট সোসাইটি ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘সেইফ ইন্টারনেট ফর আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ।

প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যেই শিশুদের জন্য গল্পের বই, শিশু ও অভিভাবকদের জন্য সচেতনতামূলক ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, গেমস তৈরি ছাড়াও বিটিআরসির সঙ্গে যৌথভাবে অভিভাবকদের জন্য প্যারেন্টাল ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে।

চুক্তি সই করার পর শিশুদের জন্য ইন্টারনেট এবং এর কনটেন্টকে নিরাপদ রাখতে ‘এডুকেশন ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল -উর-রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। প্রযুক্তির প্রসারের ফলে এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিতে এবং নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন বৃদ্ধি করতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সুন্দর দিকনির্দেশনা পায় সেজন্য অংশীজন, স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মের সমন্বয়ে কর্মশালার আয়োজন করা হবে। 

এছাড়া এর মাধ্যমে যে মতামত উঠে আসবে সে আলোকে কারিকুলাম তৈরি করা প্রয়োজনীয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরএইচটি/এমএ