সার্ভেয়ার থেকে কানুনগো পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০০৩ সালে অবসরে গেছেন মো. আবুল হোসেন। তিনি চাকরিরত অবস্থায় ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে স্ত্রী আফরোজা বেগম চায়নার নামে অঢেল সম্পদ গড়েছেন।

তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। স্ত্রীর ওই সম্পদের সহায়তাকারী হিসাবে দুজনেই এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার আসামি। একজন গৃহিণী হলেও আফরোজা বেগমের নামে অনুসন্ধানে প্রায় দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফলে আসামি হয়েছেন স্বামী ও স্ত্রী।

দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (১ এপ্রিল) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক কানুনগো মো. আবুল হোসেন অবৈধভাবে উপার্জিত আয় দ্বারা তার স্ত্রী আফরোজা বেগম চায়নার নামে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৪২ হাজার ৮১০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ গড়েছেন। আফরোজা বেগম চায়না নিজ নামে ওই সম্পদ অর্জন করে স্বামীর অবৈধ আয়কে বৈধতা প্রদান করেছেন। শুধু তাই নয়, নিজ নামে আয়কর নথি খুলে মিথ্যা আয়ের তথ্য প্রদর্শন করে অবৈধ আয়কে বৈধ করার বৃথা চেষ্টা করেছেন। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সূত্রে আরও জানা যায়, আবুল হোসেন ১৯৮৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সার্ভেয়ার হিসেবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ২০০৩ সনে তিনি কানুনগো হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তার স্ত্রী আফরোজা বেগম চায়না একজন গৃহিণী। তাদের তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অনুসন্ধানকালে আসামি মো. আবুল হোসেনের নামে ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৯ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। যার সঙ্গে তার আয় সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তার স্ত্রী আফরোজা বেগম চায়নার নামে ওই সম্পদের ব্যাখ্যা তিনি দিতে পারেননি। এ অবস্থায় আফরোজা বেগম চায়নাকে প্রধান আসামি ও তার স্বামী  আবুল হোসেনকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে মামলায়।

আরএম/এসএসএইচ