ঈদের ছুটির আগেই তৈরি পোশাকসহ সব শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। দলটি বলেছে, প্রতিবছরই ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। অধিকাংশ মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করে থাকেন। আবার ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে কোনো কোনো মালিকের কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার মন্দ নজিরও আছে। এসব ক্ষেত্রে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীত দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টসসহ রপ্তানিমুখী সেক্টরে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক আর প্রবাসী জনশক্তির মেধা ও শ্রমের ওপর। অথচ এই দুই খাতের মূল জায়গা শ্রমিক ভাই-বোনেরা সবসময়ই অবহেলিত। প্রতিটি ঈদ এলেই গার্মেন্টস কর্মীদের পাওনা বেতন ভাতার জন্য আন্দোলন করতে হয়। ইতোমধ্যেই গাজীপুর, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় বেতন ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের পুলিশ দিয়ে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে। সব হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে ঈদের আগে সব গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই-বোনদের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে।

নেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যর্থ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, মুক্তবাজারের নামে চলমান লুটপাট ও সিন্ডিকেটের ব্যবস্থা বহাল রেখে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এই নিয়ন্ত্রণহীন বাজার ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধে কেন এত অবহেলা? ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-বোনাসের টাকা দিতে হবে। নানা অজুহাত দেখিয়ে বেতন-বোনাস থেকে শ্রমিক ও কর্মচারীদের বঞ্চিত করা যাবে না।

তারা আরো বলেন, পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিক পরিবারগুলো দিশেহারা। তারা সারাদিন রোজা রাখার পর সুষম খাবার খেতে পারছে না। তাছাড়া অধিকাংশ কারখানায় এখনো শ্রমিকদের ডিউটির পরেও কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই ঈদের ছুটির আগে সব বকেয়াসহ বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হবে।

জেডএস