নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সদরঘাটের সাথে মেট্রোরেলের কানেকশন হয় সে বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। ঢাকা শহরে বসবাসকারী দক্ষিণঞ্চালবাসীও মেট্রোরেলে করে সদরঘাট আসতে পারবে। এটা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পাবে। সমন্বিত উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী। সদরঘাটও এই সুবিধা পাবে।

তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অনেকটা পিছিয়ে ছিল। তাদের তুলে আনার জন্য পায়রা বন্দর করা হয়েছে। বন্দরটি হওয়াতে ওই অঞ্চলের সিনারিও পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই পদ্মা এবং পায়রা বন্দর দক্ষিণাঞ্চলের চেহারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগামী দিনে সদরঘাট আরো ফিটফাট হবে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে সদরঘাটের চিত্র বদলে গেছে। এখানেও শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের আগে এটা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। আগে স্পিডবোটে শ্যামপুর থেকে সদরঘাটে আসতে হয়েছে। আমি সরাসরি রাস্তা দিয়ে এখানে আসতে পারিনি। কারণ গোলাপ শাহ্ মাজার থেকে এ পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর কারণে সেই শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। 

তিনি আরো বলেন, মানুষের মধ্যে আনন্দ দেখতে পাচ্ছি, তারা স্বাভাবিকভাবে লঞ্চে চলাচল করতে পারছে, কোনো ধাক্কাধাক্কি নেই। 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে দেখতাম রাত ৮টায় লঞ্চে ছেড়ে যাবে কিন্তু যাত্রীরা লঞ্চে জায়গা নেওয়ার জন্য সকালবেলা এসে লঞ্চে বসে থাকতো দুপুরের খাওয়া দাওয়া নিয়ে। বর্তমানে সেই অবস্থাটা নেই। আস্তে আস্তে এই পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, সদরঘাটের কর্মীরা আগে ঘুমাতে পারতো না এখন একটু স্বস্তিতে আছে। নতুন নতুন পন্টুন ও গ্যাংওয়ে দেওয়া হয়েছে, পরিবেশ ধরে রাখার জন্য অনেক লঞ্চ মালিক ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করেছে। কারণ এই জায়গায় ভালো সার্ভিস দিতে না পারলে মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে। পরিবেশ ভালো আছে। আমাদের লোকজন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যাত্রী সাধারণকে সেবা দেওয়ার জন্য এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। মেট্রোরেলের সুবিধা পুরান ঢাকাবাসীও পাবে। মাল্টিমোডাল কানেকটিভিটির বিষয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন। পাঁচ বছরে তেমন কিছু করতে না পারলেও বিগত পনেরো বছরে তিনি বাংলাদেশকে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দিয়েছেন। 

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাজিদুল ইসলাম, যুগ্মসচিব মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর সদস্য সেলিম ফকির উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিমন্ত্রী সদরঘাটে নৌযান ও ঘাট কর্মীদের মধ্যে ইফতার বিতরণ করেন।

এমএসআই/পিএইচ