রমজানের শেষ দিকে এসে হঠাৎ বেড়ে গেছে তাপমাত্রা। সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। তাই তো আকাশের দিকে তাকিয়েছিলেন নগরবাসী। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি নামে। তবে সেটির স্থায়িত্ব খুব বেশি ছিল না। তাৎক্ষণিকভাবে আবহাওয়া অফিস থেকেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ জানা যায়নি। যদিও বৃষ্টিপাতের ঘণ্টাখানেক আগে থেকে চট্টগ্রামের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। দুপুরের সময়ে সন্ধ্যার মতো অন্ধকার হয়ে যায়। এসময় নগরজুড়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায় এবং আকাশে মেঘে ছোটাছুটির সঙ্গে ছিল বিদ্যুৎ চমকানো ও বজ্রপাত। 

এদিকে হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিপাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দৈনন্দিন প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন। বিশেষ করে ঈদের আগে যারা শপিংয়ে গেছেন তারা একেকজন একেক জায়গায় আটকা পড়েন। আবার সড়কে-ফুটপাতে বসা হকাররা দ্রুত মালামাল গুটিয়ে পার্শ্ববর্তী দোকানে আশ্রয় নেন। 

তারপরও এক পশলা বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলছেন নগরের বাসিন্দা জাবেদ হোসেন। তিনি বলেন, রমজানের শেষ দিকে এসে গরমের বেড়ে গেছে। আবার ইফতার বলেন কিংবা সেহরি বলেন, বেশিরভাগই সময়ে দেখা যায় বিদ্যুৎ থাকে না। এ অবস্থায় শহরে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। আজকের বৃষ্টিপাতে একটু হলে স্বস্তি পাচ্ছি।

এমআর/এসএম