ইসরায়েলের অর্থনীতিক নগরী তেল আবিব থেকে সম্প্রতি সরাসরি একটি ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করেছে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনীতিক কোনও সম্পর্ক না থাকলেও সেখান থেকে সরাসরি বাংলাদেশে ফ্লাইট অবতরণ করার বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ১১ এপ্রিল ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশে অবতরণ করে ফ্লাইটটি। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের এনসিআর-৮০৬ নম্বর ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। এটি একটি কার্গো উড়োজাহাজ যা একসঙ্গে ১০৮ টন মালামাল নিতে সক্ষম।

বিমানবন্দর জানায়, ফ্লাইটটি অবৈধভাবে দেশে অবতরণ করেনি। সব ধরনের নিয়ম মেনেই একে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফ্লাইটটিতে কোনও যাত্রী বা মালামাল ছিল না।

ইসরায়েল থেকে আসা সরাসরি ফ্লাইটের বিষয়ে জানতে চাইলে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইসরায়েল থেকে ফ্লাইট আসার তথ্যটি সঠিক। তবে ফ্লাইটটি ফাঁকা ছিল। বাংলাদেশে নামানোর মতো কিছু ছিল না।

তিনি বলেন, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এয়ারক্রাফটিও যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধন নেওয়া। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এয়ার সার্ভিস অ্যাগ্রিমেন্ট (এএসএ) রয়েছে। তাদের ফ্লাইট অবতরণে কোনও বাধা নেই। মূলত ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ থেকে রেডি মেড গার্মেন্টস (আরএমজি) পণ্য নিয়েছে। এয়ারলাইন্সটি এই পণ্য শারজাহ এবং ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরায়েলের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ইসরায়েলে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা আছে। জাতিসংঘভুক্ত যে ২৮টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশি হাতে লেখা ও মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে স্পষ্টভাবে ছাপানো ছিল যে, ‘দিস পাসপোর্ট ইজ ভ্যালিড ফর অল কান্ট্রিজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’।  

এআর/এমএসএ