পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন মানুষজন। তবে ঈদের চতুর্থ দিন রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে কর্মব্যস্ত মানুষের রাজধানীতে ফেরার তেমন চাপ লক্ষ্য দেখা যায়নি। আবার রাজধানী থেকে ছেড়ে যাওয়া পরিবহনগুলো যাত্রী সংকটে সিট ফাঁকা রেখেই গন্তব্যে ছুটছে। এ সময় বাসগুলোকে টিকিট কম দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।

রোববার সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকার বাইরে থেকে যে বাসই আসছে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই আসছে। তবে রাজধানীতে প্রবেশ করা বাসের সংখ্যা কম। আবার কিছু যাত্রী হলেও  গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্ধারিত সময়েই বাস ছেড়ে যাচ্ছে। 

গাবতলী বাস টার্মিনালের কাউন্টারের কর্মচারী রুবেল বলেন, এখন মানুষ সেভাবে বাড়িতে যাচ্ছে না। আমাদের বেশিরভাগ গাড়ি ঢাকা থেকে ফাঁকা ছেড়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে খুলনা সরকার নির্ধারিত আমাদের ভাড়া ৮০০ টাকা। কিন্তু আমরা ঈদের আগে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি ৬৫০ টাকা থেকে ৭শ টাকা। এখন অর্ধেক দামেই টিকিট বিক্রি করছি। এখন তো বেশিরভাগ গাড়িই খালি যাচ্ছে। দু-একজন যাত্রী পেলেও প্রতিটি গাড়ি সময়মতো ছেড়ে যাচ্ছে। 

শ্যামলী কাউন্টারের কর্মচারী মিনহাজ জানান, আজকে থেকে যাত্রী আসা শুরু হয়েছে। সকাল থেকে পরিবহনগুলোতে যাত্রীরা রাজধানীতে ঢুকছে। কিন্তু যাত্রীদের চাপ বাড়েনি। ঢাকায় ফেরা মানুষদের চাপ বিকেল থেকে বাড়বে। ঢাকা থেকে বাড়িফেরা মানুষের সংখ্যা খুবই কম বলেও জানান তিনি। 

সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ইদ্রিস জানান, গাবতলীতে এখনপ যাত্রী চাপ শুরু হয়নি। আমি প্রায় ৪০ মিনিট যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু পাচ্ছি না। কয়েকজন এসে ভাড়া জিজ্ঞেস করে চলে গেছে। তবে আজ বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়বে আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

পরিবার নিয়ে রাজধানীতে ফেরা সজল নামের এক যাত্রী বলেন, নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরতে পারলাম। কোনো চাপ ছিল না। বিশেষ করে অন্যান্যবার ঘাটে ফেরির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা লাগতো। কিন্তু এবার যেতেও ঘাটে জ্যাম ছিল না, আবার আসতেও জ্যাম পাইনি। নির্ধারিত সময়ে গাড়ি ছেড়েছিল এবং নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় পৌঁছেছি।

এসআর/জেডএস