রাজধানীর খিলগাঁও থানার গোড়ান এলাকায় রোকসানা আক্তার কান্তা(৩০) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের অভিযোগ— নির্যাতনের পর স্বামী তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরিবারসূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাশিদুল ইসলাম একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার ফায়দাবাদ এলাকায়। খিলগাঁও থানার গোড়ান এলাকার আট নাম্বার গলির ২০০ নম্বর বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি।

নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম তপন জানান, আমার বোনের পাঁচ বছরের একটি ছেলে ও দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। বোনজামাই রাশিদুল ইসলাম গোপনে আরেকটি বিয়ে করে এবং তিনি বাড়ি বানানোর জন্য বিভিন্ন সময় বোনকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। এর আগে তাকে বেশ কয়েকবার কয়েক লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। তারপরও তিনি আমার বোনকে আরো টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। হঠৎ শুনি— তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। এরপর থেকে বাসায় এসে সবসময় বোনের ওপর নির্যাতন চালাত। আজ আমরা খবর পাই আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এরপর ঘটনাস্থলে যাই এবং পুলিশের সহায়তায় বোনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক জানান— আমার বোন আর বেঁচে নেই।

এ সময় কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। বোন জামাই তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে।

খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, খবর পেয়ে অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান— তিনি আর বেঁচে নেই। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এসএএ/এমজে