ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ ও এর পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার দাবি জানিয়েছে নির্ভয় ফাউন্ডেশন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব, নেত্রকোণা জেলা প্রেস ক্লাব ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ু সংকট উত্তরণের দাবিতে ধর্মঘট ও সচেতনতা র‍্যালিতে অংশ নেন নির্ভয় ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

এসময় জলবায়ু সুরক্ষা ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ, নবায়নযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণ ও টেকসই কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় তরুণ জলবায়ু আন্দোলনকারীরা। তরুণরা তাদের বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে যা পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে টেকসই প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানাই।

জলবায়ু কর্মী ও নির্ভয় ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত বিশ্ব জীবাশ্ম জ্বালানি উত্তোলন ও বিক্রয়ের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। সারা পৃথিবীর তরুণরা আজ একত্রিত হয়ে এই অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে যেন জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়। আমরা টেকসই ও নিরাপদ পৃথিবীর দাবিতে একত্র হয়েছি।’

পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শেষে তরুণরা র‍্যালি বের করে। এসময় র‍্যালিটি রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। শান্তিপূর্ণ এ ধর্মঘটে জলবায়ু কর্মীরা কাগজে নানা স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, চিত্রকর্ম প্রদর্শনের মাধ্যমে জলবায়ুর প্রতি সুবিচারের দাবি জানান।

এসময় প্ল্যাকার্ডে ‘ফিক্স দ্য ফাইন্যান্স’, ‘নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করো’, ‘ক্ষতিকারক কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ বন্ধ করো’, ‘ক্লাইমেট জাস্টিস নাউ’ এবং ‘জলবায়ু সহনশীল টেকসই কৃষি চর্চায় বিনিয়োগ করুন’সহ নানা লেখা দেখা যায়। এছাড়া নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাব ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ু সংকট থেকে উত্তরণের দাবিতে প্রতিবাদ জানান জলবায়ু কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, নির্ভয় ফাউন্ডেশন ২০১৭ সাল থেকে জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে কাজ করে যাচ্ছে এবং প্রতি বছর বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করে পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তের তরুণদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আসছে।

পিএইচ