অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বাংলা ও বাঙালির যে সম্পর্ক তা প্রস্ফুটিত হয়েছে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে। বিশ্বে এখন মৌলবাদের উত্থান, বোধের সংকীর্ণতা, শ্রেণি বৈষম্য এবং অহেতুক যুদ্ধ সংঘাত। এসবরের কারণেই রবীন্দ্রনাথ বর্তমান বিশ্বে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন। তার শান্তির বাণী, উপলব্ধির কথা, তার সাম্যের কথা আরও বেশি প্রণিধানযোগ্য।

তিনি বলেন, যখন স্বৈরাচার থাকে, যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন সংস্কৃতি প্রতিবাদের অন্যতম হাতিয়ার। সেই প্রতিবাদে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার অনেকেই অংশগ্রহণ করেছে। যেখানে রাজনীতি চর্চার সুযোগ থাকে না, সেখানে সংস্কৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়েছে এবং সেটি বড় পরিসরে সকলের কাছে পৌঁছে যায়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা চট্টগ্রাম বিভাগীয় শাখা আয়োজিত রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশাখ মাসে আমাদের নববর্ষ। বাঙালি ঐতিহ্যের সরব উদযাপন। আমাদের সন্তানরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেন বিজাতীয় সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হবে? যেখানে আমাদের ঐতিহ্য, বাঙালির সংস্কৃতি উজ্জ্বল। আমাদের প্রতিটি কাজ ও আবেগে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের কোনো না কোনো গান, কবিতা ও গল্প জড়িয়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কারাগারের রোজনামচা বইয়ে রবিঠাকুরের বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা উল্লেখ করেছেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টিকে চিরঅম্লান রাখতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এমএম/এসকেডি