রাস্তায় নেই গণপরিবহন। সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, সাইকেল ও রিকশা চললেও রাজধানীর কিছু কিছু পয়েন্টে গাড়ির রয়েছে ধীরগতি। কোনো কোনো পয়েন্টে এক থেকে দুটি সিগন্যালে দাঁড়াতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে।

তবে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছুদিন ধরেই রাস্তায় জনসমাগম বেড়েছে। গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সাইন্সল্যাব, কাকরাইল, কারওয়ান বাজার মোড়, বনানী রোডে গাড়ির ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে। গাড়ির চাপ থাকায় এসব পয়েন্টের সিগন্যালে গাড়িগুলোকে থামতে হচ্ছে। দেখা গেছে, সড়কে থাকা গাড়িগুলোর মধ্যে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকারের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। এর বাইরেও আছে পণ্যপরিবহনের গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা।

মার্চেন্ডাইজার আরিফুল ইসলাম বলেন, উত্তরা অফিসে যাবো। কাকরাইল মোড়ে বসে আছি ১৫ মিনিট হলো। গণপরিবহন না চললেও এরকম যানজটে সম্মুখীন হবো, এটা ভাবিনি। আসলে সবারই হয়তো কাজ আছে, না হলে তো বাইরে বের হতো না করোনার এই সময়ে। সবাই নিরুপায়।

রাস্তায় গাড়ির চাপ বেশি কেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে রমনা ট্রাফিক বিভাগের এসি রেফাতুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, 'রোববার থেকে রাস্তায় গাড়ির প্রচণ্ড চাপ। চেকপোস্ট গুলোতে চেক করে কুলাতে পারছি না। সব গাড়ি যদি চেক করতে যাই, তাহলে রাস্তায় চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়বে। সব গাড়ি চেক করতে গিয়ে হয়তো ৪০/৫০টা মামলা হবে, তাতে কিছুই হবে না। উল্টা লোকজন ভোগান্তিতে পড়বে।'

তিনি আরও বলেন, 'মোটামুটি অনেক গাড়ি রাস্তায় বের হয়েছে। প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো কারণ আছে। বিজিএমইএ-এর একটা লেটার আছে, লোকজন সেটা নিয়ে বের হয়। প্রত্যেকটা গাড়ির কোন না কোন কারণ আছে বের হওয়ার। আমাদের কিছুই করার থাকে না। সরকারি নির্দেশনায় ১৮ ধরনের প্রতিষ্ঠান খোলা। তাদের কর্মীরা আইডি কার্ড না দেখালেও কিছু করার থাকে না। প্রচুর মানুষ রাস্তায় বের হইছে।'

এমএইচএন/এসএম