সকাল নেই, সন্ধ্যা নেই, দিনরাত লেগে থাকে তীব্র যানজট। এ যানজট গণপরিবহন বাস অথবা প্রাইভেট কারের জন্য নয়, বরং রিকশা, লেগুনা, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জন্য। প্রায় ২ লাখ মানুষের বসবাস হওয়ায় সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটা পথেও জনজটের সৃষ্টি হয়। আবার বর্ষা এলেই জমে থাকে পানি।‌ মাত্র ১৭ ফুটের এ রাস্তা ঘিরে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই।

বলছি মুগদা বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত আধাকিলোমিটার সড়কের কথা। ব্যাংক, অফিসপাড়া খ্যাত মতিঝিলের খুব কাছে হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষের বসবাস এ এলাকায়। পাশেই রয়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন।

প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় এ সড়কে নামে মানুষের ঢল। থাকে না রাস্তায় পা ফেলার জায়গাও। তার ওপর সড়কে রিকশা, লেগুনা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার আধিক্য। সবমিলিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই। বছরের পর বছর ধরে চলছে এ অচলাবস্থা।

যদিও ২০১৯ সালের দিকে মান্ডা ব্রিজ থেকে গ্রিন মডেল টাউন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক কোথাও ৫০ ফিট, কোথাও ১০০ ফিটে প্রশস্ত করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ফলে ওই অংশে এখন আর যানজট বাধে না। তবে মূল সমস্যা রয়ে গেছে মুগদা বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজ পর্যন্ত আধাকিলোমিটার অংশে।

স্থানীয়দের দাবি ও জনস্বার্থ বিবেচনায় এই রাস্তা প্রশস্ত করতে মাঠে নেমেছে ডিএসসিসি। গত রোববার (২১ এপ্রিল) ও সোমবার (২২ এপ্রিল) সিটি কর্পোরেশন ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে এই রাস্তার দুই পাশের দোকান, বাড়িগুলোর কিছু অংশ ভেঙে দিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ১৭ ফিটের এই রাস্তাকে ৫০ ফিটে প্রশস্ত করা। যেখানে ৪০ ফিট মূল রাস্তা আর দুই পাশে ৫ ফিট করে ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বলছে, এটি করা গেলে এ এলাকায় আর কোনো যানজট, জনজট থাকবে না। যানবাহনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবে।

এ উদ্যোগকে সাধারণ মানুষ সাধুবাদ জানিয়ে উচ্ছ্বাস করেছে। তবে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পক্ষ অভিযানে বাধা দেওয়ারও চেষ্টা করেছে। এতে অভিযান পরিচালনাকারী টিম ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, তাদের দালিলিক মালিকানাধীন জমিতে থাকা দোকান, বাড়ি ভেঙে দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। এর জন্য তাদের কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। সিটি কর্পোরেশন জমি অধিগ্রহণও করেনি।

যদিও সিটি কর্পোরেশন বলছে, এ পর্যন্ত চারবার ভবন ও দোকান মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রাজউক থেকে এসব ভবন মালিক কোনো নকশার অনুমোদন নেয়নি। আর এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে, তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই জনস্বার্থে এ রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

রোববার ও সোমবার দুই দিনের অভিযানে পাঁচ শতাধিক দোকান ও বাড়ির কিছু অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর অর্ধেক সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ যানের মাধ্যমে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো জায়গার মালিকরা নিজেরাই ভেঙে নিয়েছেন। মঙ্গলবারও (২৩ এপ্রিল) এ অভিযান চলবে বলে জানা গেছে।

দুই দিনের এ অভিযানে সরেজমিনে দেখা গেছে, মান্ডা ব্রিজ থেকে এ অভিযান শুরু হয়। প্রথমদিকে সিটি কর্পোরেশন এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়লেও পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দ্বিতীয় দিনে একই রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে স্থানীয়দের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। যা দেখে বাড়ি ও দোকান মালিকরা নিজ উদ্যোগে তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে নিজেদের স্থাপনা  ভেঙে ফেলতে শুরু করেন।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, মুগদার প্রধান সড়ক বিশ্বরোড থেকে মান্ডা ব্রিজ বা হায়দার আলী বিদ্যালয় পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ককে ড্যাপের নকশা অনুযায়ী ৫০ ফুট প্রশস্ত করার লক্ষ্যে সড়কের উভয় পাশের স্থাপনাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। সে আলোকে ভবন মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে তাদের অনুরোধ করেছি। সে পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক প্রশস্ত করার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে প্রায় সব ভবন মালিক  স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন।

এসব স্থাপনার মালিকরা বলছেন তাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি বা ক্ষতি পূরণ দেওয়া হয়নি– এ বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের একাধিকবার ডাকা হয়েছে, নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারা কোনো কথা শোনেনি। এসব ভবন নির্মাণের আগে তারা রাজউক থেকে নকশা অনুমোদনও নেয়নি।

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, জনস্বার্থে আমরা এ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সাধারণ মানুষ আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। ড্যাপে চিহ্নিত নকশা অনুযায়ী রাস্তা প্রশস্ত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও রাজউকের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

রাস্তাটির বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সড়কের প্রশস্ততা রয়েছে গড়ে ১৭ ফুট। সড়কের উভয় পাশে ৫ ফুট করে ১০ ফুট ফুটপাত ও দুই সারির (ডবল লেন) ৪০ ফুট মূল সড়ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা খুব দ্রুত এ রাস্তা করার কাজ শুরু করব। রাস্তাটির কাজ শেষ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের চলাচলে আর কোনো ভোগান্তি থাকবে না।

মুগদা সড়কটি ৫০ ফিটে প্রশস্ত করার বিষয়ে রাজউকের অথরাইজড অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, এখানকার ভবনগুলোকে নকশার অনুমোদনপত্র দেখাতে বারবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কেউ অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেনি। রাজউকের নকশা না মেনে অথবা অনুমতি না নিয়েই রাস্তার দুই পাশে এসব ভবন গড়ে তুলেছে তারা। যেহেতু তারা অনুমোদন নেয়নি আর সংকীর্ণ রাস্তা প্রশস্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। তাই তাদের সঙ্গে অভিযানে যুক্ত হয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

ডিএসসিসির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ রানা বলেন, আশা করছি খুব শিগগিরই রাস্তাটির কাজ আমরা শুরু করতে পারব। এতে এই এলাকার বাসিন্দারা খুবই উপকৃত হবেন। মূলত জনস্বার্থেই আমরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

খুশি এলাকাবাসী

মুগদা-মান্ডা এলাকায় প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরে সংকীর্ণ রাস্তার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিল তাদের। তবে রোববার থেকে ডিএসসিসি ও রাজউকের যৌথ অভিযানে সড়কের দুই পাশের দোকান ও ভবনগুলো গুড়িয়ে দিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এ এলাকার বাসিন্দারা। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

মুগদার বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আইনুর রহমান অংকন বলেন, আমার অফিস মতিঝিলে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। এই রাস্তাটি বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে বড় বিষফোড়া। সিএনজি, রিকশা ও লেগুনার কারণে হাঁটার কোনো সুযোগ থাকে না। যানবাহনে উঠলে দীর্ঘসময় বসে থাকতে হয়। প্রচুর চাকরিজীবী এই এলাকায় বসবাস করে। বলতে গেলে প্রতিটি মানুষই চায় এই রাস্তাটি হোক। আমরা খুব খুশি এই রাস্তাটির কাজ শুরু হচ্ছে দেখে। এ কার্যক্রমে আমরা সাধুবাদ জানাই।

মান্ডা এলাকার আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এ রাস্তাটি যেন হয়। মুগদা থেকে মান্ডা, গ্রিন মডেল টাউন পর্যন্ত আগে যানজট থাকত। পরে ২০১৯ সালের দিকে মান্ডা ব্রিজ থেকে গ্রিন মডেল টাউন পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করেছে সিটি কর্পোরেশন। ওই অংশে এখন আর যানজট হয় না। তবে মুগদা বিশ্ব রোড থেকে মান্ডা ব্রিজের আগ পর্যন্ত তীব্র যানজট লেগে থাকে প্রতিদিন। এমনকি হেঁটেও এ রাস্তায় চলা যায় না। মুগদা-মান্ডাবাসী চায় এ রাস্তাটি প্রসারিত হোক। তাহলে যেমন এলাকার উন্নয়ন হবে, তেমনি যাতায়াত ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। দীর্ঘদিন ধরে আমরা চেয়ে আসছিলাম যেন এ রাস্তা ঠিক হয়, যেন আমরা ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারি। বর্তমানে এ রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। এতে আমরা খুশি। আমরা এ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছি।

ক্ষতিপূরণ না পেয়ে ক্ষোভে জমি মালিকরা

যানজট প্রবণ মুগদার রাস্তা প্রশস্ত করার খবরে এলাকাবাসী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও ক্ষতিপূরণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভবন ও দোকান মালিকরা।

মুগদায় রাস্তার পাশে চারটি দোকান ও পেছনে একটি দোতলা বাড়ির মালিক মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমরাও চাই এ এলাকায় প্রশস্ত রাস্তা হোক। কিন্তু রাস্তা করার নামে আমাদের জমিতে থাকা দোকান-বাড়ি ভেঙে দেবে সেটাও না হয় মেনে নিলাম। কিন্তু রাস্তা করার জন্য জমি তো অধিগ্রহণ করা উচিত ছিল অথবা ক্ষতিপূরণ দিতে পারত। কিন্তু তারা কিছুই না করে হঠাৎ এসে রাস্তার দুই পাশের দোকান-বাড়িঘর ভেঙে ফেলছে। কোনো অভিযোগই কেউ আমলে নিচ্ছে না। এখানে আমরা অসহায় হয়ে গেছি, কার কাছে অভিযোগ জানাব, সেটাই বুঝতে পারছি না। এসব ভেঙে দেওয়ার কারণে একজন মালিকের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের অভিযোগ কেউই আমলে নিচ্ছে না। রাস্তা করা হোক কিন্তু আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক আগে।

মুগদায় রাস্তার পাশের একটি প্লটের মালিক খোরশেদ আলম। তারও কয়েকটি দোকান এবং পেছনে বাড়ি রয়েছে। তার দোকানের সবগুলোই ভাঙা পড়েছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বাড়ি-দোকানের নকশা চেয়ে রাজউক নোটিশ দিয়েছিল, যে নোটিশ অনেকে পেয়েছে, আবার অনেকে পায়নি। অথচ হুট করে এসেই সব ভেঙে ফেলা হচ্ছে। রাস্তা হবে ঠিক আছে, আমরাও এলাকাবাসী হিসেবেও রাস্তা চাই। কিন্তু অধিগ্রহণ বা ক্ষতিপূরণ না দিয়ে দোকান, বাড়ি ভেঙে ফেলে আমাদের পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কার কাছে অভিযোগ জানাব, কেউই আমাদের অভিযোগ শুনছে না। সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, স্থানীয় প্রশাসন সব জায়গায় আমাদের সমস্যার কথা জানানো হয়েছে কিন্তু আমাদের পক্ষে কেউই অবস্থান নিচ্ছে না। আমাদের ক্ষতি করে পথে বসিয়ে দিয়ে রাস্তা করার জন্য সবকিছু ভেঙে ফেলা হচ্ছে। আমাদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে রাস্তা করুক, এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তার আগে আমাদের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। যখন এসব ভেঙে ফেলা হচ্ছে, আমাদের মতো অনেক জমি মালিক ভয়ে নিজেরাই কিছু অংশ ভেঙে নিচ্ছে। কিন্তু আমরা তো আমাদের প্রাপ্যটুকু পাচ্ছি না।

ক্ষতিপূরণ ছাড়া রাস্তা না করার আহ্বান দোকান-বাড়ির মালিকদের

ক্ষতিপূরণ না দিয়ে দোকান-বাড়ি না ভাঙতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওই এলাকার জমি, বাড়ি ও দোকান মালিকরা। গত শনিবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলন করেন মুগদা এলাকার রাস্তার দুই পাশের দোকান, বাড়ি ও জমির মালিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিকদের পক্ষে এ এস এম সালাউদ্দিন বলেন, মুগদা এলাকার সড়কের দুই পাশে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে নিজস্ব জমিতে আমাদের পূর্বপুরুষরা বাড়িঘর দোকান নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। এখন আমরা বসবাস করছি। মুগদা প্রধান সড়কটি সর্বশেষ ঢাকা সিটি জরিপ অনুযায়ী ৩০ ফুট প্রশস্ত। সম্প্রতি রাজউকের নোটিশের মাধ্যমে জানতে পারি সড়কটি ৫০ ফুট করা হবে। নকশা চেয়ে রাজউক থেকে আমাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে, আবার অনেকে নোটিশ পায়নি। সিটি কর্পোরেশন ও রাজউক জমিগুলো এখনো আইনিভাবে অধিগ্রহণ করেনি, আমাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহণের বিধান রয়েছে। কিন্তু আমাদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদ করে দোকান বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা যেমন চাই এখানে রাস্তা হোক, তেমনি আমাদের দাবি ক্ষতিপূরণ দিয়ে অথবা জমি অধিগ্রহণ করে এ রাস্তার কাজ করা হোক।

এএসএস/এসএসএইচ