বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক শাওন বিশ্বাসের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ শোক ও সমর্থন জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় চট্টগ্রামের কাপ্তাই মহাসড়কে শাহ আমানত বাস বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন চুয়েট শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হন। তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল চালক শান্ত সাহা (সিভিল ২০২০) ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। বাকি দুইজনের মধ্যে তৌফিক (সিভিল ২০২১) হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান এবং হিমু (সিভিল ২০২১) এখনো গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চুয়েটের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করে দোষীদের শাস্তির আন্দোলন শুরু করছে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি দীপক শীল এবং সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা বলেন, চুয়েটের দুইজন শিক্ষার্থী শান্ত এবং তৌফিকের অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তাদের মতো সম্ভাবনাময় দুটি প্রাণ গাড়ির চাপায় নিভে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার নয়। সারা দেশে সংঘটিত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রশাসনের গাফিলতি, লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ হলে সম্ভাবনাময় কোনো জীবনকে অকালে ঝরে যেতে হত না।

তারা বলেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারণে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কাঠামোগত হত্যায় পরিণত হয়েছে। চুয়েট শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতের সুষ্ঠু বিচার এবং পরবর্তী সময়ে যেন আর কোনো সাধারণ মানুষকে সড়ক দুর্ঘটনায় জীবন দিতে না হয়, সে জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে চুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানিয়েছেন, সেসব দাবি এবং আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জ্ঞাপন করছি।

এমএইচএন/কেএ