নবম পে-স্কেলসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে কেন্দ্র ঘোষিত সারা দেশে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানকে স্মারকলিপি দেন ফোরামের নেতারা।

ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে স্মারকলিপি প্রদানকালে সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমার, আরিফুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রসুল নয়ন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক খাদিজা খানম, মহানগর আহ্বায়ক, ছারোয়ার হোসেন তালুকদার, সদস্য সচিব মাহবুবুল হক তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি মৌসুমি প্রধান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নেতারা বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২১তম, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ২য়। বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। আমাদের গড় আয় বেড়েছে কিন্তু আমরা ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারীরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সেবা খাতের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রব্যমূল্য কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ও সেবামূল্যও আকাশচুম্বী রূপ ধারণ করেছে। অথচ নিম্ন গ্রেডের কর্মচারীদের আয় বাড়েনি মোটেও। তাই চলমান জীবন বাস্তবতার নিরিখে প্রজাতন্ত্রের এসব নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের কিছু সমস্য নিরসনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

৬ দফা দাবিগুলো হচ্ছে– পে-কমিশন গঠনপূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। যেসব কর্মচারী মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে। টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল, ব্লক পোস্ট নিয়মিত করণসহ সব পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে। বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক সব ভাতা পুনর্নির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদেরও রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তরে কাজের ধরন অনুযায়ী পদনাম ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে।

নেতারা জানান, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

এনআর/এসএসএইচ