অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসি) সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. হারুন-অর-রশীদ ও তার স্ত্রী সুমাইয়া আজমীর বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের ঢাকা প্রধান কার্যালয় থেকে সম্প্রতি ওই সম্পদের নোটিশ ইস্যু করা হয়। দুদক পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ সই করা চিঠি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

যদিও প্রথম দফায় জারি করা নোটিশের বিপরীতে সময় চেয়ে আবেদন করেন চিকিৎসক দম্পতি। যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল ২১ কর্মদিবস সময় দেয় দুদক।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে দুদক থেকে দেওয়া সম্পদের নোটিশে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনি আপনার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আপনি আপনার নিজ ও আপনার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশ উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রফেসর ডা. হারুন-অর-রশীদ বিএমআরসির পরিচালক হিসেবে অবসরে গেছেন।

আরএম/এসকেডি