পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। কেননা পরিবেশের অভিযোজন ক্রিয়াগুলোকে বুঝার জন্য অংশীদারিত্ব এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতার জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। এতে করে খুব সহজেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ন্যাপ এক্সপোর শেষ দিন ‘এসেসিং রিচনেস অ্যান্ড গ্যাপস টুওয়ার্ডস দ্য গ্লোবাল গোলস অ্যাডাপ্টেশন (ইউএনইপি)’ শীর্ষক কারিগরি অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ সচিব বলেন, অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে এবং উন্নয়ন সূচকে অবদান রাখতে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়া অভিযোজন প্রচেষ্টা বাড়ানো এবং অগ্রগতি প্রদর্শনের জন্য এনএপি এবং জিজিএ এর মধ্যে সমন্বয় করা হচ্ছে।

ড. ফারহিনা আরো বলেন, গ্লোবাল গোল অন অ্যাডাপটেশন (জিজিএ) এর সঙ্গে অভিযোজন কার্যক্রমগুলোর সমন্বয় করার জন্য জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এক্ষেত্রে বেশ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এনএপি প্রণয়নের আগেই আমাদের বেশকিছু বিষয় আলোচনায় আনতে হবে। তবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো অভিযোজন প্রচেষ্টাকে জিজিএ এর সঙ্গে সমন্বয় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আর কপ-২৮ গ্লাসগো সম্মেলনে অভিযোজন বিষয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি কাঠামো গ্রহণ করা হয়েছে।

এ সময় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস, ইউএনইপি এর আঞ্চলিক জলবায়ু পরিবর্তন সমন্বয়কারী মোজাহারুল আলম, এফএও বাংলাদেশ এর জাতীয় জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ আরফান উজ্জামান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশে প্রথমবারের মতো ‘ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান (ন্যাপ) এক্সপোর আয়োজন করা হয়। যা আজ বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরএইচটি/এসকেডি