রাজধানীর কোতোয়ালি থানার শাঁখারি বাজার কৈলাস ঘোষ লেনে বাবার ওপর অভিমান করে সাততলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে অর্পণ কর্মকার (১৬) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। অর্পণ কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়। 

অর্পণ কর্মকার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দোয়াজানি গ্রামের দীপঙ্কর কর্মকারের ছেলে। বর্তমানে তারা ৬ নম্বর কৈলাস ঘোষ লেনের বাড়িতে ভাড়া থাকত। 

নিহতের বাবা দীপঙ্কর কর্মকার বলেন, আজ দুপুরের দিকে সামান্য বিষয় নিয়ে তাকে বকাঝকা দিয়েছিলাম। তাই আমার একমাত্র ছেলে অর্পণ অভিমান করে বাসার সপ্তম তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলের দিকে মারা যায় অর্পণ।

কান্না বিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি আগে যদি জানতাম, তাহলে অর্পণকে কিছুতেই বকাঝকা দিতাম না। পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা হলো বাবার কাঁধে সন্তানের মরদেহ। বাবা অর্পণ তুই সেই বোঝা আমাকে দিয়ে গেলি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, শাঁখারি বাজারের কৈলাস ঘোষ লেন থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সাড়ে পাঁচটার দিকে মারা যায় সে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।
 
এসএএ/কেএ