আগে থেকেই চট্টগ্রামের পটিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেন। অপরদিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিও পটিয়া স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। তবে বিপত্তি বাধে ক্রসিং জটিলতায়, এতে স্টেশনের আগে একটি পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস। পরে ট্রেনটিকে উল্টো পথে (পুশব্যাক) ২৪ কিলোমিটার দূরে দোহাজারী স্টেশনে নেওয়া হয়। 

জানা গেছে, পটিয়া স্টেশনে ৮ বগির বেশি বড় ট্রেন ক্রসিং করা যায় না। ফলে কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে পুশব্যাক করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়তলী কন্ট্রোল রুম ও পটিয়া স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। 
   
দোহাজারী স্টেশন ম্যানেজার এস এম ইকবাল জানান, শুক্রবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ক্রসিং পটিয়া স্টেশনে করার সিদ্ধান্ত নেয় কন্ট্রোল রুম। 

সেই অনুযায়ী পর্যটক এক্সপ্রেস আগে থেকেই পটিয়া স্টেশনের মেইন লাইনে এসে দাঁড়ায়, অপরদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস পটিয়ার কাছাকাছি আসে। কিন্তু পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়ে যায়। কারণ পটিয়া স্টেশনের লুপ লাইনে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ২২ কোচের রেক জায়গা হবে না। ফলে কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পটিয়া থেকে ব্যাক গিয়ারে (উল্টো পথে) করে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে দোহাজারী স্টেশনে ফেরত পাঠানো হয়।

দুই ট্রেনের চালকরা জানান, কন্ট্রোল রুম থেকে ট্রেনের মুভমেন্ট ও ক্রসিং যারা করে থাকেন তারা সেই স্টেশন, ট্রেন বিভিন্ন বিষয়ে অবগত থাকেন। কিন্তু এই মুভমেন্ট যিনি করিয়েছেন তিনি কি জানতেন না, পটিয়া স্টেশনে এই পুরো ট্রেনটি জায়গা হবে না! পটিয়া স্টেশনের আউটারেই একটি ডেড স্টপেজ (ভাঙা সেতু) আছে, সেই সেতুর উপর দিয়ে উল্টো গাড়ি চালানো ভয়ংকর সিদ্ধান্ত। অথচ সেটাই জোর করে করা হয়েছে।

গত ২৪ তারিখ স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যানের ভুলে লাইন ক্লিয়ারেন্সের কারণে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ডুলহাজারা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়।

আরএমএন/এমএসএ