বাদামতলী থেকে বের হলেই বদলে যায় তরমুজ
গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল হিসেবে পরিচিত তরমুজ। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ ফলটির ৯২ শতাংশই পানি হওয়ায় গরমে এর জনপ্রিয়তা থাকে তুঙ্গে।
কৃষকের ক্ষেতে তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে। গ্রামাঞ্চলের বাজারেও একইভাবে বিক্রি হয় গ্রীষ্মকালীন এ ফল। তবে রাজধানীতে এলেই যেন ফলটি আর পিস থাকে না। দাম হয়ে যায় তোলায় তোলায়। বিক্রি হয় কেজিতে।
বিজ্ঞাপন
তবে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সড়ক পথে আসা তরমুজ পাইকারি দরে পিস হিসেবেই বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বাদামতলীতে। সারাদেশ থেকে ট্রাকে করে আসা তরমুজ বাজারটিতে নামিয়ে সারি করে সাজানো হচ্ছে। বাজারটিতে তরমুজের পরিমাণ দেখেই বোঝা যাচ্ছে রাজধানীর ফলটির চাহিদা তুঙ্গে রয়েছে।
এখান থেকেই পুরো রাজধানীতে সাপ্লাই হয় তরমুজ। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আনা এসব তরমুজ বাদামতলীর আড়তদারদের কাছেও বিক্রি করা হয় পিস হিসেবে। তবে বাজারটি থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে যাওয়া মাত্রই পিস তরমুজ হয়ে যাচ্ছে কেজি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বাদামতলীর এ ফল মার্কেটে এসেছেন খুচরা ব্যবসায়ী মাহফুজ আহমেদ। তিনি এখান থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কেনেন এবং খুচরা বাজারে তা কেজি দরে বিক্রি করে থাকেন।
এ খুচরা ব্যবসায়ী জানান, তারা পাইকারি মার্কেট থেকে বেশি দামে কেনার পর তা কেজি দরে বিক্রি করতে না পারলে তাদের লাভ ওঠাতে মুশকিল হয়ে পড়ে।
ফলে খুচরা দোকান থেকে ক্রেতারা সেটি আর পিস হিসেবে কিনতে পারছেন না। কিনতে হচ্ছে কেজি দরে। এতে নিম্নবিত্ত মানুষদের পক্ষে কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এফআর