বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীর

রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণী মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জব্দ করা আলামতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তবে এসব আলামতে উপস্থিতি থাকলেও মুনিয়ার মৃত্যুতে তার (আনভীর) ভূমিকা কী, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আরও বিশ্লেষণ করার পর জানা যাবে মুনিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য।

এ ঘটনায় ‘প্ররোচনার’ অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মামলা করেছেন নিহত মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান। পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। পাশাপাশি আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলছে না পুলিশ। তারা বলছে, সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর গ্রেফতার হতে পারেন সায়েম সোবহান আনভীর।

এদিকে আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডির বাসভবনে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে জব্দ হওয়া দুটি স্মার্টফোনে আনভীরের সঙ্গে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে ওই তরুণীর অসংখ্য ছবি ছিল। বেশ কয়েকটি ছবিতে মুনিয়া এবং আনভীরকে হাতে হাত রেখে এবং কিছু ছবিতে কাঁধে হাত দিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা গেছে। মুনিয়ার ফোনে পাওয়া গেছে বাংলালিংক অপারেটরের একটি নম্বরের অসংখ্য কল রেকর্ড। ওই নম্বরটি এমডি আনভীরের বলে নিশ্চিত করেছেন বসুন্ধরা গ্রুপের একাধিক কর্মকর্তা। রেকর্ড হওয়া কলের কয়েকটিতে আনভীরের সঙ্গে মুনিয়ার স্বাভাবিক কথাবার্তা শোনা গেছে। কয়েকটিতে আবার মুনিয়াকে আবেগী আর আনভীরকে আক্রমণাত্মক কথাবার্তা বলতে শোনা গেছে। তবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিলের কথোপকথনের সবগুলোতেই তাদের মধ্যে ঝগড়াবিবাদ চলছিল বলে জানা গেছে।

সূত্র আরও জানায়, ফোন রেকর্ডে আনভীরের ওই নম্বর থেকে মুনিয়াকে ‘শেষ করে ফেলব’ বলে হুমকি দেওয়া হয়। সেই রেকর্ডে মুনিয়াকে কান্নাকাটি করে বার বার ‘কিছু জানি না, কিছু জানি না’ বলে দাবি করতে শোনা যায়।

পুলিশ বলছে, কল রেকর্ডগুলো আনভীরের নম্বরের হলেও অপরপ্রান্ত থেকে তিনি ছিলেন কি না তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।  এদিকে মুনিয়ার ফোনে ডাউনলোড করা একটি অ্যাপে মুনিয়া ও আনভীরের নম্বরে চ্যাটের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এই অ্যাপে দেখা যায়, মুনিয়া প্রতিদিনই আনভীরের নম্বরে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ এবং ছবি দিতেন। এসব ম্যাসেজে ফ্ল্যাটে একা থাকা মুনিয়া কখন কী করতেন, সারাদিন কীভাবে কাটত, ফোনে সারাদিন কার সঙ্গে কী কথা হয়েছে ইত্যাদি লেখা ছিল। এছাড়া মুনিয়া কোথাও ঘুরতে গেলে বা কেনাকাটা করতে গেলেও তার ছবি ও মেসেজ এই অ্যাপে দেওয়া হতো। তবে এই অ্যাপে সপ্তাহে ২-১ বার আনভীরের নম্বর থেকে প্রতিউত্তর আসত।

‘আমার কিছু হলে ছবিগুলো সবাইকে দেখাবেন’- এমপিপুত্র শারুনকে মুনিয়া

মুনিয়ার মোবাইল থেকে আরেকটি চ্যাটের সংলাপ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটি জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী এমপির ছেলে শারুনের সঙ্গে মুনিয়ার কথোপকথন। সেখানে মুনিয়া এমপিপুত্র শারুনকে বলেছেন, ‘একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। আমার ক্ষতি হতে পারে। আপনাকে গত বছরের কিছু ছবি এখানে দিয়ে রাখছি। আমার যদি কিছু হয় তাহলে আপনি এটা সবাইকে দেখাবেন।’

তবে এ বিষয়ে শারুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এটা ভুয়া স্ক্রিনশট। আমার সঙ্গে মুনিয়ার এমন কোন চ্যাট হয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব বানিয়ে ছড়ানো হচ্ছে। ওই মেয়ের (মুনিয়া) সঙ্গে আমার জীবনে দেখাও হয়নি। ওই মেয়ে গত বছর একবার আমাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে নক করেছিল। সে আমার সাবেক স্ত্রী সম্পর্কে জানতে চায়। আমি তাকে বলেছি, এটা নিয়ে আমি কথা বলতে রাজি না। এতটুকুতেই শেষ।’

ডায়েরিতে সুখ-দুঃখের স্মৃতি, সুইসাইড নোট

মুনিয়ার ঘর থেকে বড় ফ্রেমে টাঙানো আনভীর ও তার দুটি কাপল (দম্পতি) ছবি জব্দ করা হয়েছে। সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে হাতে লেখা ৬টি ডায়েরি। ডায়েরিগুলোতে গত ২ বছরের বেশ কয়েকটি ঘটনা তারিখসহ লেখা আছে। ডায়েরির বেশ কয়েকটি অংশে আনভীরের নাম ও তার সঙ্গে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া এবং প্রেমের দিনগুলোর বিষয়ে লিখেছেন মুনিয়া।

ডায়েরির লেখাগুলোর শেষের দিকে মুনিয়া লিখেছেন ‘জীবনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি’। মুনিয়ার বোন নুসরাত বলেছেন, এটাই তার ‘সুইসাইড নোট’।

এ বিষয়ে পুলিশ জানায়, মুনিয়ার ফোনটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। মোবাইল থেকে কোনো তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে কি না সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই ভবনের প্রবেশমুখ ও করিডোরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়েও যাচাই করছে পুলিশ।

পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলাটি তার মেরিট অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। মোবাইল ও ডায়েরির লেখাগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও দেখা হচ্ছে। আসামিকে ধরতে এ পর্যন্ত কোনো অভিযান চালানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাকে গ্রেফতারে এখনও কোনো অভিযান চালানো হয়নি। সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ পেলেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  

আনভীর কোথায়?

এদিকে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। এদিন আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর হাকিম তা মঞ্জুর করেন। তবে সোমবার মুনিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে আনভীর দুবাই পালিয়ে গেছেন। অনেকে বলেছেন কার্গো ফ্লাইটে, আবার কেউ বলেছেন প্যাসেঞ্জারে ফ্লাইটে তিনি দুবাই গেছেন। তবে ঢাকা পোস্টের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ও মঙ্গলবার আনভীর বাংলাদেশেই ছিলেন।

বিমানবন্দরের তথ্য যাচাই করে দেখা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ থেকে মাত্র দুটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট দুবাই গেছে। সেগুলোর কোনোটির প্যাসেঞ্জার লিস্টেই (যাত্রীদের নামের তালিকা) আনভীরের নাম ছিল না। এছাড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের তালিকা অনুযায়ী আনভীর সর্বশেষ বাংলাদেশে প্রবেশের পর আর দেশত্যাগ করেননি।

ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, আনভীরের কাছে বাংলাদেশ এবং স্লোভাকিয়ার দুই দেশের পাসপোর্ট রয়েছে। তার কোনোটিই ব্যবহার করে তিনি অন্য দেশে যাননি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল-আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘কোনো বিশেষ অবস্থা ছাড়া কার্গো ফ্লাইটে যাত্রী যাওয়ার সুযোগ নেই। বিমানবন্দর দিয়ে কারোরই গোপনে দেশত্যাগের সুযোগ নেই।’

গুলশানের ডিসি সুদীপ চক্রবর্ত্তী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইমিগ্রেশন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী আনভীর বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগ করেননি। তাহলে তো বাংলাদেশেই থাকার কথা।’ এদিকে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আনভীর যাতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ-পথে ভারতে পা রাখতে না পারেন, সেজন্য সীমান্ত এলাকার থানাগুলোকে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সিসিটিভিতে ফুটেজে মুনিয়ার ফ্ল্যাটে আনভীরের উপস্থিতির প্রমাণ

গুলশানের যে ফ্ল্যাটে মুনিয়া থাকতেন সেটির এবং আশপাশের কিছু সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে কী আছে তার বিস্তারিত এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছে না পুলিশ। তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে চলতি মাসের প্রথমভাগে ওই ফ্ল্যাটে বসুন্ধরার এমডি আনভিরের যাওয়ার প্রমাণ আছে।

মুনিয়ার বোন নুসরাত ঢাকা পোস্টের কাছে দাবি করেন, ‘পুলিশ যে ফুটেজ নিয়ে গেছে সেখানে আনভীরের যাতায়াত করার ছবি আছে। এ বিষয়ে মুনিয়া তাকে (বোন) আগেই জানিয়েছেন। এছাড়া বাসা থেকে অনেক তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে ডায়েরি পেয়েছে, ডায়েরিতে অনেক এভিডেন্স (প্রমাণ) আছে, সুইসাইড নোটও আছে। মুনিয়ার দুটি মোবাইল ফোনেও অনেক প্রমাণ আছে। মুনিয়ার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।’

মোসারাত জাহান মুনিয়া মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সোমবার রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নুসরাত বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার বোনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের ভিক্ষা চাইছি। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কিন্তু সরকার থেকে কখনো কিছু নিইনি। আমার এতিম বোনটার সঙ্গে এই অবস্থা হয়েছে, এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

আমার বোনকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে আনভীর

মুনিয়ার বোন ঢাকা পোস্টেকে বলেন, ‘মুনিয়াকে আমি তিনমাস বয়স থেকে লালন-পালন করেছি। সে আমার সন্তান। আমার বোনটারে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেছে আনভীর। আমি রাখতে পারি নাই। সে বলেছিল আমার বোনকে বিয়ে করবে এবং বাইরে সেটেলড করবে। কিন্তু সে বেইমানি করেছে। গত কিছুদিন ধরে মুনিয়ার মন খারাপ ছিল। গতকাল আমাকে ফোন দিয়ে বলে, ‘আপু, আনভীর ধোঁকা দিয়েছে, আমার অনেক বড় বিপদ। আমার যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ এরপরই ঢাকায় এসে মুনিয়ার মরদেহ দেখতে পান তারা।

নুসরাতের স্বামী মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে এ বিষয়ে তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘প্ররোচনা’

আত্মহত্যার ঘটনায় ‘প্ররোচনা’র অভিযোগে আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন মুনিয়ার বোন নুসরাত। এতে তিনি অভিযোগ করেন, এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয়ের পর ২০১৯ সালে আনভীর মুনিয়াকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে আনভীরের পরিবার মুনিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে। তখন আমার বোনকে (মুনিয়াকে) আনভীরের জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন তার মা।

এ ঘটনার পর আনভীর মুনিয়াকে কৌশলে কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন এবং পরে বিয়ে করবেন বলে আশ্বাস দেন। গত মাসের (মার্চ) ১ তারিখে গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার বি/৩ ফ্যাটটি ভাড়া নেন আনভীর। ১ মার্চ থেকে মুনিয়া সেই ফ্ল্যাটেই ছিলেন এবং আনভীর মাঝে মাঝে ওই ফ্ল্যাটে আসা যাওয়া করতেন। 

গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ফ্ল্যাট মালিকের বাসায় ইফতার পার্টিতে গিয়ে মুনিয়া ছবি তোলেন। ফ্ল্যাট মালিকের স্ত্রী ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করলে সেটি আনভীরের পরিবারের একজন দেখে ফেলেন এবং আনভীরকে জানান। বিষয়টি নিয়ে আনভীর মুনিয়াকে বকাঝকা করেন এবং হুমকি দেন। ২৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে মুনিয়া তার মোবাইল নম্বর থেকে নুসরাতকে ফোন করে কান্নাকাটি শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘আনভীর আমাকে বিয়ে করবে না, সে শুধু আমাকে ভোগ করেছে। এছাড়া আমাকে সে ‘মনে রাখিস তোকে আমি ছাড়ব না’ বলে হুমকি দিয়েছে।

এজাহারে বলা হয়েছে, মুনিয়া নুসরাতের কাছে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বলেন, ‘যেকোনো সময় আমার বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তোমরা তাড়াতাড়ি ঢাকায় আসো।’

মোসারাত জাহান মুনিয়া মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। সোমবার রাতে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এআর/এমএসি/এসএম/জেএস