আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের এখন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে প্রতিবেশী ভারতের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের বিপজ্জনক বার্তা থেকে। 

রোববার (২ মে) সিলেট জোন, বিআরটিসি ও বিআরটএ'র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকে বোঝা বড়ই মুশকিল, কখন কী রূপ ধারণ করে বোঝা যায় না। তাই স্বাস্থ্যবিধি ও শতভাগ মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। আমাদেরকে আরও মনোযোগী হতে হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করায়। ভারতে আজকে কী অবস্থা, একটি বেড ও অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মানুষ মারা যাচ্ছে। তাদের শ্মশান ও কবরস্থান খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমাদের এখন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে প্রতিবেশী ভারতের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হারের বিপজ্জনক বার্তা থেকে। ভ্যাকসিনের জন্য উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মানবিক নেত্রী যখন পাশে আছেন তখন এই দুঃসময় একদিন কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, গতকাল পদ্মাসেতুর মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ গার্ডার স্থাপনের মধ্য দিয়ে পুরো সেতুর স্ট্রাকচারের কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত মূলসেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি শতকরা ৯৩ দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ। নদী শাসন কাজের অগ্রগতি শতকরা ৮৩ শতাংশ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫.৫ শতাংশ। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মাসেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

সিলেট বিআরটিএ-কে দুর্নীতির অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশ দেন তিনি। 

ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রকল্পের বিষয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প হচ্ছে এটি, তাই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার বিষয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। দীর্ঘদিন এই প্রকল্পের কাজ ঝুলে থাকলেও সম্প্রতি গতি পেয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগের লক্ষ্যে এডিবির সম্মতিও পাওয়া গেছে।

প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও প্রধান প্রকৌশলীকে এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিআরটিসিকে লোকসানের বৃত্ত থেকেেও বেরিয়ে আসতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।‌ 

এইউএ/জেডএস