পারফরমেন্স রিপোর্টের শীর্ষে তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফাইল ছবি
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর পারফরমেন্স রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। এবার ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৮.৯৭ নম্বর পেয়ে পেয়ে শীর্ষ অবস্থান করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ৯৩.১৩ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়, আর ৯১.৯০ নম্বর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অর্থ বিভাগ।
রিপোর্টে ৬৫.৫৫ পয়েন্ট পেয়ে সবার নিচে রয়েছে গণপূর্ত বিভাগ। আগের বছর (২০১৮-১৯) বিদ্যুৎ বিভাগ ৯৬.৪৬ নম্বর নিয়ে শীর্ষে ছিল।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে জাতীয় কমিটির করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং-এ দায়িত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদনের চুক্তির নম্বরের গড় ছিল ৮৪.৪০।
২০১৯-২০ অর্থবছরে পারফরমেন্সে পর্যায়ক্রমে রয়েছে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ (৯১.০৯), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় (৯০.৯০), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৯০.৭৭), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (৮৯.০8), বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (৮৮.৬১), বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় (৮৮.৫৪), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (৮৮.২৯), সেতু বিভাগ (৮৮.১০), স্থানীয় সরকার বিভাগ (৮৮.০৫), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (৮৭.৫৯), সুরক্ষা সেবা বিভাগ (৮৬.৪৩), তথ্য মন্ত্রণালয় (৮৬.২৫), পরিকল্পনা বিভাগ (৮৬.১৮), বিদ্যুৎ বিভাগ (৮৫.০৮), ধর্ম মন্ত্রণালয় (৮৪.৯৮), সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (৮৪.৯৭) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৮৪.৫৭)।
বিজ্ঞাপন
পাওয়া নম্বরের ক্রমানুসারে রয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ (৮৪.২২), দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় (৮২.৯১), জননিরাপত্তা বিভাগ (৮২.০৫), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ (৮১.৯২), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (৮১.৭৭), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (৮১.৭৬)।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (৮১.৩৩), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (৮১.১০), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ (৮০.৭০), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৮০.৫৪), কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ (৮০.৩৯), খাদ্য মন্ত্রণালয় (৮০.৩২), মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৭৯.৮৪), লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (৭৯.৫০), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (৭৯.৩৮), পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (৭৯.২২), রেলপথ মন্ত্রণালয় (৭৮.৮১), শিল্প মন্ত্রণালয় (৭৭.৭৬), ভূমি মন্ত্রণালয় (৭৭.৭৫), বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (৭৭.৪৩)।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পেয়েছে (৭৭.১৪), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (৭৬.৯৫), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ (৭৬.৬২), ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ (৭৫.৮৭), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ (৭৫.৬৪), সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৭৫.১৭)।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (৭৩.৮৫), নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় (৭২.০৪), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (৭০.৭০), আইন ও বিচার বিভাগ (৬৬.০৯) এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় (৬৫.৫৫)।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, প্রতিবছরের অর্থবছরের শীর্ষে থাকা দশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে পুরস্কৃত করা হয়। সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়ানো, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান এবং পারফরমেন্স মূল্যায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সরকারি অফিসসমূহে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বা এপিএ প্রবর্তন করা হয়।
এতে সরকারি অফিস একটি নির্দিষ্ট অর্থবছরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে যেসকল ফলাফল অর্জন করতে চায় সেগুলোর ফলাফল এবং তা অর্জনের নির্দেশকগুলো একটি নির্ধারিত ছকে বর্ণনা করতে হয়। এপিএ বর্তমানে মন্ত্রণালয়/বিভাগ হতে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি অফিস পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।
এসব সরকারি অফিসগুলো এপিএ প্রণয়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনায় সহায়তার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রতি বছর এপিএ নির্দেশিকা প্রকাশ করে।
এক বছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে, সেই কাজের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করা হয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অধীন দফতর/সংস্থার সঙ্গে এপিএ চুক্তি করা হয়ে থাকে। চুক্তি অনুযায়ী, বাস্তবায়ন পরিস্থিতি বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কমিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নম্বর দিয়ে থাকে।
এনএম/এমএইচএস